শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

অরক্ষিত চট্টগ্রাম সিটি

নালা-নর্দমায় ডুবে মরছে মানুষ, দেখার কেউ নেই, উৎকণ্ঠা ঘরে ঘরে

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মহানগরের মুরাদপুর থেকে ২ নম্বর গেট হয়ে জিইসি মোড়। এখানে সড়কের উত্তর পাশে ৬-৮ ফুট প্রস্থের নালা রয়েছে। নালাগুলো সম্পূর্ণ উন্মুক্ত। কোথাও স্লাব বা নিরাপত্তা বেষ্টনী নেই। একইভাবে বহদ্দারহাট থেকে মুহাম্মদপুর পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে আছে বড় আকারের নালা। এতে নেই কোনো স্লাব। বহদ্দারহাট থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত বিস্তৃত চাক্তাই খাল। খালের অধিকাংশ অংশই অরক্ষিত। ষোলশহরের চশমা খালের পাড়েই আছে ২০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৭ ফুট প্রস্থের উন্মুক্ত সড়ক। এভাবে নগরের খাল, নালা, ড্রেনগুলো অরক্ষিত হয়ে আছে। অরক্ষিত খাল-নালায় পড়ে ঘটছে মৃত্যু ও নিখোঁজ। সঙ্গে বাড়ছে দুর্ঘটনা। গত পাঁচ মাসে পাঁচজন খাল-নালায় পড়ে নিখোঁজ-মৃত্যুর শিকার হয়েছেন। এ সমস্যা নিরসনে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। ক্রমে দীর্ঘ হচ্ছে নালা-খালে পড়ে মৃত্যু ও নিখোঁজের তালিকা। সর্বশেষ সোমবার ষোলশহর চশমা খালে পড়ে নিখোঁজ হয় শিশু কামাল (১০)। তিন দিন পর গতকাল দুপুরে শোলকবহর এলাকার বির্জা খাল থেকে কামালের লাশ উদ্ধার হয়।

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘নগরে নালা-নর্দমা ও ড্রেনে নিরাপত্তা বেষ্টনী চসিক দেয়। কিন্তু যেখানে জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে সেখানে কিছু করা হয়নি। সেখানে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। তবে যেসব নালায় কাজ হচ্ছে না সেখানে স্লাব বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। জানুয়ারির মধ্যে স্লাব বসানোর কাজ শেষ হবে।’ সরেজমিন দেখা যায়, নগরে ২৮৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ১৪৪টি ফুটপাথ থাকলেও অধিকাংশই বেদখলে। ফুটপাথ দিয়ে পথচারী হাঁটার কোনো সুযোগ নেই। তা ছাড়া নগরে প্রায় ২০০ ম্যানহোল আছে, যার অধিকাংশই উন্মুক্ত। নগরের অধিকাংশ সড়কই ক্ষতবিক্ষত। দুই সপ্তাহ আগেও মোটরসাইকেল সড়কের বড় গর্তে পড়ে মারা যান এক তরুণী।

► কোনো সংস্থাই দায় এড়াতে পারে না

► নাগরিক নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল ও ভঙ্গুর

► এটি দুর্ঘটনা নয় হত্যাকাণ্ড

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর