সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

মাংস বিক্রেতাকে কুপিয়ে জখম করলেন কলেজ শিক্ষক

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের সাপ্টিবাড়ী বাজারে মাংসে একটু চর্বি বেশি দেওয়ায় শহীদুল ইসলাম নামে এক মাংস বিক্রেতাকে দা দিয়ে কুপিয়েছেন সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. হজরত আলী। এ ঘটনায় হজরত আলীর শাস্তি দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ শেষে মানববন্ধন করেছে শহীদুলের পরিবার ও সাপ্টিবাড়ী মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। গতকাল দুপুরে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ শেষে এ মানববন্ধন হয়। এ ঘটনায় শহীদুলের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম পচা বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গুরুতর আহত অবস্থায় মাংস বিক্রতা শহীদুল ইসলাম লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ওই প্রভাষকের এমন আচরণে হতবাক সাপ্টিবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা।

অভিযোগে জানা যায়, সাপ্টিবাড়ী কলেজের কৃষিশিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মো. হজরত আলী ঘটনার দিন শনিবার বিকালে সাপ্টিবাড়ী বাজারে গরুর মাংস ক্রয় করতে যান। একটু চর্বি বেশি দেওয়ায় মাংস ব্যবসায়ী শহীদুলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে ওই কলেজ শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে কসাইয়ের ধারালো দা দিয়ে শহীদুলের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় আহত শহীদুলকে বাজারের লোকজন উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই দিন রাতেই আদিতমারী থানায় শহীদুলের বড় ভাই সিরাজুল বাদী হয়ে প্রভাষক হজরত আলীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মানববন্ধনে কলেজ প্রভাষক হজরত আলীর শাস্তি দাবি জানিয়ে আহত শহীদুলের স্বজনরা ঝাড়ু উঁচিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত হজরত আলীকে গ্রেফতার করা না হলে বড় আন্দোলনে যাবেন তারা। মাংস বিক্রেতা শহীদুলের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ছোট ভাই দীর্ঘদিন ধরে সাপ্টিবাড়ী বাজারে মাংস বিক্রি করে আসছে। কোনো দিন কারও সঙ্গে কোনো কটু কথা হয়নি। হিংসাত্মক মনোভাবের কারণেই ওই কলেজ প্রভাষক আমার ভাইকে কুপিয়েছে। তার মাথায় ১৬টি সেলাই পড়েছে। বর্তমানে আমার ভাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’ সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক হজরত আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘মাংসে একটু চর্বি বেশি দেওয়ায় তার সঙ্গে শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাকে দা দিয়ে কোপানোর বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার সম্মান ক্ষুণ্ন করতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটানো হচ্ছে।’ আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোক্তারুল ইসলাম বলেন, ‘এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর