মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নিঃসঙ্গ পেলিক্যান

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নিঃসঙ্গ পেলিক্যান

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠালগ্নে বিদেশি নানা প্রজাতির প্রাণীর সঙ্গে দুটি পেলিক্যান পাখি আনা হয়। ২০১৭ সালে অসুস্থ হয়ে স্ত্রী পেলিক্যানটি মারা যাওয়ায় পর একাকী জীবন পার করছে পেলিক্যানটি। চার বছর পার হয়ে গেলেও সঙ্গী পাবেন এমন ভাবনায় দিনগুলো কাটাচ্ছে পাখিটি। পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আনিছুর রহমান বলেন, সাফারি পার্কের ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে পেলিক্যানের বসবাস। প্রায় এক একর আয়তনের এ জায়গার চারদিকে বেষ্টনী তৈরি করা। মূলত এখানেই তার দিনগুলো অতিবাহিত হচ্ছে। কখনো একাকী চুপচাপ বসে থাকা, আবার কখনো উড়ে যাওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা- এসবই তার সারা দিনের রুটিন। এ ছাড়াও সে দর্শনার্থীদের নানাভাবে কসরত দেখিয়েও যান। শিশুসহ অনেকেই দেশে অপরিচিত এ পাখিকে দেখে আলাদা বিনোদনও পান। সঙ্গী স্ত্রী মারা যাওয়ায় পুরুষ এ পাখিকে দৈনিক দেড় কেজি করে ছোট রুই মাছ (নওলা) দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত এ পাখিটির তেমন কোনো অসুস্থতা তৈরি হয়নি। ভিনদেশি হলেও আশা করা যায়, এ পাখিটি আমাদের পরিবেশের সঙ্গে ভালোভাবেই মিশে রয়েছে। পার্ক কর্তৃপক্ষ জানান, জলের পাখি পেলিক্যান। বড় ঠোঁটের জন্য এরা বিখ্যাত। ঠোঁটের নিচে চামড়ার থলি থাকে, যার মধ্যে এরা খাবার জমিয়ে রাখে। মাছ এদের প্রধান খাদ্য। জলাশয়ের ধারে শিকারের সন্ধানে এদের বসার ভঙ্গি খুবই বৈচিত্র্যময়। এ পাখি প্রায় দেড় মিটার লম্বা। এদের পা ছোট। আঙ্গুলগুলো পরস্পরের সঙ্গে জোড়া লাগানো। খাবার শিকারের সময় এরা পানিতে ছোঁ দিয়ে পানিসহ মাছ উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে মাছকে নিজের থলিতে ঢুকিয়ে পানি ছেড়ে দেয়। পানিতে ভালো সাঁতারও কাটতে পারে। এ পাখি ঝাঁক তৈরি করে ভ্রমণ করে। সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, পেলিক্যানের মারা যাওয়ায় পর চার বছর ধরে একাকী রয়েছে সে। তার একজন সঙ্গী হলে প্রজননের একটি সম্ভাবনা ছিল। সে উপায় এখনো তৈরি হয়নি। তবে টিকে থাকা এ সদস্যকে কেন্দ্র করে সাফারি পার্কের পর্যটকরা ভালোই বিনোদন পাচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর