বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

দিনে সবজি বিক্রেতা রাতে ডাকাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তজেলা ডাকাত দলের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এরা ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছিল। সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন ব্রিজ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি শটগান ও একটি পাইপগান, দুটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও নগদ ৩১ হাজার টাকা এবং দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- হিটু মিয়া, ফরহাদ আলী, লিটন শেখ, রিপন মৃধা ওরফে জামাই রিপন, স্বপন মিয়া, জাকির ব্যাপারী, জলিল খান, লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস, অজিত চন্দ্র সূত্রধর ও ইখতিয়ার হোসেন। এরা দিনে সবজি বিক্রি, মুদি দোকানি ও শ্রমিকের কাজ করলেও রাতে হয়ে ওঠে দুর্ধর্ষ ডাকাত। গতকাল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।

তিনি বলেন, আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা দিনে বিভিন্ন পেশায় (সবজি বিক্রি, মুদি দোকানি ও শ্রমিক) নিয়োজিত থাকলেও সন্ধ্যায় ভয়ংকর হয়ে ওঠে। এই চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন স্বর্ণের দোকান, শিল্পকারখানা এবং ব্যাংকে ডাকাতি করতেন। সোমবার রাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে র‌্যাব-১-এর একটি দল গোপন সংবাদে রূপগঞ্জে অভিযান চালায়। এ সময় ডাকাতির উদ্দেশে মাইক্রোবাসে অবস্থান করা ১০ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। চক্রের সদস্যরা দেশের ভিন্ন ভিন্ন জেলায় বসবাস করে। ডাকাতির আগে তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে একত্রিত হতেন। ছদ্মবেশে ব্যাংক, স্বর্ণের দোকান, শিল্পকারখানার বাইরে অবস্থান করে ২-৩ জন ভিতরে প্রবেশ করে এবং মূল দলটি মাইক্রোবাসসহ সুবিধাজনক স্থানে অপেক্ষা করে। চক্রের সদস্যরা একে অপরের যোগসাজশে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এখন পর্যন্ত ১১টি ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ মডেল ও সাভার থানা, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) শাহআলী, মতিঝিল ও ডেমরা থানা, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানা, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা, মানিকগঞ্জের ঘিওর থানাসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি মামলা রয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক বলেন, এই ডাকাত দলের অন্যতম হোতা ফরহাদ হোসেন।

চক্রের মধ্যে কেউ সবজি বিক্রেতা, কেউ দোকানদার। মূলত তারা ডাকাতি করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। আমরা যেসব দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছি সেগুলো ফরহাদ ও হিটু মিয়ার কাছ থেকেই পাওয়া গেছে। এরাই মূলত অস্ত্রের যোগানদাতা।

 

সর্বশেষ খবর