রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সুখ ও সমৃদ্ধি কামনায় বড়দিন উদ্‌যাপিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুখ ও সমৃদ্ধি কামনায় বড়দিন উদ্‌যাপিত

জাতির সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে গতকাল দেশব্যাপী উদ্‌যাপিত হয়েছে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। মহামারীর কারণে এবারও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা নিজেদের ঘরেই এ উৎসব উদ্‌যাপন করেন। তবে এ আয়োজনে কিছুটা বিধিনিষেধ থাকলেও আনন্দের কমতি ছিল না। এ ছাড়া রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোয় বড়দিনের উৎসব উদ্‌যাপনে ছিল বর্ণাঢ্য আয়োজন।

বড়দিন উদ্‌যাপনে গতকাল দিনের শুরুতেই প্রার্থনায় যোগ দিতে গির্জায় খ্রিস্টধর্মাবলম্বীর ঢল নামে। সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানব জাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বানের বাণীতে শুরু হয় প্রার্থনা। নগরীর উপাসনালয়গুলোয় সকাল ৭টায় শুরু হয় এ প্রার্থনা। সকাল থেকেই গির্জাগুলোয় প্রার্থনায় অংশ নেন যিশুভক্তরা; যা চলে সকাল ৯টা পর্যন্ত। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের (ফার্মগেট) জপমালা রানীর গির্জায় সকাল ৭টা ও ৭টায়, রমনার (কাকরাইল) সেন্ট মেরিস ক্যাথিড্রাল গির্জায় সকাল ৮টায় এবং ইন্দিরা রোডে বাংলাদেশ ব্যাপ্টিস্ট চার্চে সকাল ৯টায় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে যোগ দেন খ্রিস্টধর্মের নানা বয়সী মানুষ। প্রার্থনা শেষে তারা জানান, পুরো পৃথিবী এক মহামারীর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এজন্য প্রার্থনায় দেশ-জাতির কল্যাণসহ করোনামুক্তির আবেদন জানানো হয় যিশুর কাছে।

বড়দিন উপলক্ষে গির্জা ও ধর্মপল্লীগুলোয় যিশুখ্রিস্টের জন্মের সময়কে স্মরণে আলাদা করে বানানো হয় গোয়ালঘর। গোয়ালঘরজুড়ে রাখা হয় শিশু যিশুখ্রিস্ট, মা কুমারী মেরি, জোসেফ, রাখালসহ বেশ কয়েকটি প্রতিকৃতি। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পরই শুরু হয় বড়দিনের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি। গতকাল দুপুরেও বিভিন্ন ধর্মপল্লীতে ছিল মানুষের আনাগোনা।

বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর গির্জাগুলোর পাশাপাশি তারকা হোটেলগুলোয়ও ছিল বর্ণাঢ্য আয়োজন। ক্রিসমাস ট্রি রঙিন বাতি, বেলুন, ফুল, জরি দিয়ে সাজানো হয়। সান্তাক্লজ হোটেলে আসা শিশুদের উপহার দেন। হোটেলগুলোয় ছিল বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা।

সর্বশেষ খবর