মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
ঘুষ গ্রহণ ও অর্থ পাচার

ডিআইজি পার্থ’র বিরুদ্ধে রায় ৯ জানুয়ারি

আদালত প্রতিবেদক

ঘুষ গ্রহণ ও অর্থ পাচার আইনে করা মামলায় বরখাস্ত করা সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপালের বিরুদ্ধে রায়ের জন্য আগামী ৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত। গতকাল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ দিন ধার্য করে। এদিন কারাগার থেকে আসামি পার্থ গোপালকে আদালতে হাজির   করা হয়। এরপর তার উপস্থিতিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। এ সময় দুদক যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে আসামি পার্থ গোপালের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে নির্দোষ দাবি করে খালাস প্রত্যাশা করেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে আদালত রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করে। ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট আসামি পার্থ গোপালের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন ১৪ জনকে সাক্ষী করে আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর গত বছরের ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।একইসঙ্গে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এ বদলির আদেশ দেন।             তারপর গত ৪ নভেম্বর আদালত আসামি পার্থ গোপালের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।

এর মধ্য দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাউদ্দিনের জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত। শুরু হয় মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ।

২০১৯ সালের ২৮ জুলাই কারাগারের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পার্থ গোপাল বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে অভিযানে যায় দুদক। বিকালে ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপালের ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদক। এর পরই আটক করা হয়। পরদিন ২৯ জুলাই তার বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ১৬১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ধারায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করে দুদক। অভিযোগপত্রে বলা হয়, বরখাস্ত কারা উপমহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। এসব টাকা গোপন করে তার নামীয় কোনো ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশে নিজ বাসস্থানে লুকিয়ে রেখে দন্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

সর্বশেষ খবর