মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

বেগুন চাষে লাভ কৃষকের

মো. কাবুল উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ

বেগুন চাষে লাভ কৃষকের

সব ধরনের সবজির জন্য বিখ্যাত মানিকগঞ্জ। শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি ও বেগুন অন্যতম। জেলায় এবার ৭ হাজার ২১২ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে সদরে রয়েছে ২ হাজার ৩২০ হেক্টর। এবার অসময়ে বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফুলকপির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফুলকপির ক্ষতিতে দিশাহারা হয়ে পড়ে কৃষক। কিন্তু অল্প  দিনের মধ্যে বেগুনের ফলন আসায় এবং ভালো দাম পাওয়ায় ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তারা। বাজারে প্রচুর বেগুনের চাহিদা। এখানকার বেগুন জেলার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। সরেজমিন দেখা যায়, পরিবারের লোকজন এবং শ্রমিকরা বেগুন তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কথা বলার সময় নেই। কাজের ফাঁকে ঢাকুলি এলাকার কৃষক আবদুস সালাম বলেন, গত বছর ফুলকপিতে তেমন লাভ হয়নি, বাজার দর কম ছিল। তাই এবার বেশি করে বেগুন চাষ করেছি। বেগুনের ফলন খুব ভালো হয়েছে এবং বাজার দরও ভালোই যাচ্ছে। এবার অসময়ে বৃষ্টির কারণে ফুলকফিতে যে লোকসান হয়েছে তা বেগুনে পুষিয়ে যাবে। এক বিঘা বেগুন চাষে খরচ হয় ২০-২৫ হাজার টাকা। বাজার ঠিক থাকলে ৬০-৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হবে। আরেক কৃষক মো. তৌফিকুর রহমান সরফ বলেন, ফুলকফিতে লাভ হয়নি। নিচু জমিতে যারা ফুলকফি চাষ করেছিল তাদের অনেকের লোকসান হয়েছে। আমারও ফুলকফিতে ক্ষতি হয়েছে। কফি খেত ভেঙে ধনিয়া বুনেছি। অন্যান্য জমিতে বেগুন চাষ করে অনেক লাভবান হচ্ছি। সাধারণত বৃষ্টি-বাদলে বেগুনের তেমন ক্ষতি হয় না। তাই আগামীতে আরও জমিতে বেগুন চাষ করব। আড়তে বেগুন  নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি শেষ। প্রচুর চাহিদা এবং দামও ভালো। এখন বেগুনই  আমাদের ভরসা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু মো. এনায়েতউল্লাহ বলেন, ভালো দাম পাওয়ায় এবার কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। অসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় সরিষার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে সবজির তেমন ক্ষতি হয়নি। যেটুকু ক্ষতি হয়েছে ভালো দাম পাওয়ায় তা পূরণ হয়ে যাচ্ছে।.

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর