শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
সুগন্ধায় লঞ্চে আগুন

কেম্মে বোঝবেন, দুই নাতনি ও মাইয়ারে কবরে থোয়ার যন্ত্রণা

বরগুনা প্রতিনিধি

কেম্মে বোঝবেন, দুই নাতনি ও মাইয়ারে কবরে থোয়ার যন্ত্রণা

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ সিমু আক্তারও মারা গেছেন। তাকে গতকালই যমজ দুই মেয়ে লামিয়া-সামিয়ার কবরের পাশেই দাফন করা হয়েছে। সিমু আক্তার বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের আগাপাড়া গ্রামের আবদুল আজিজের মেয়ে। গত বুধবার সকালে নদী থেকে লাশটি দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন। সিমুর ভাই হান্নান নিজে গিয়ে তার বোনের লাশ শনাক্ত করেন। গতকাল ভোররাতে লাশটি দাফন করা হয়েছে। এলাকার লোকজন জানান, যেহেতু লাশটি অর্ধগলিত, তাই ভোররাতেই দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। সিমুর বাবা আবদুল আজিজ হাঁউমাউ করে কেঁদে  বলেন, ‘মোর নাতির (নাতনি) লাশ লইয়া আইছেন কয়দিন আগে। আইজগো আইছেন মোর মাইয়ার লাশটা লইয়া। বউ হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায়। এ কেমন বিচার করল আল্লাহ্! মুই কি ভুল হরছি আল্লাহ্র ধারে যে, হেই ভুলের এত বড় শাস্তি দিল মোরে! আম্মেরা কেম্মে বোঝবেন যে, নিজ হাতে দুই নাতনি ও মাইয়ার লাশ কবরে থোয়া কি যে যন্ত্রণার। মাইয়াডার লাশ সামনে রাইখা কানতেও পারি না।’ এইটু কথা বলেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

দুই মৃতদেহ হস্তান্তর : লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে গতকাল সপ্তম দিনের মতো উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়। নদী থেকে এ পর্যন্ত নিখোঁজ পাঁচটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার উদ্ধার হওয়া দুটি লাশের পরিচয় পাওয়া যায়।  এর একজন সিমু আক্তার বেগম (২৫) এবং অপরজন নরসিংদীর রায়পুরের হাইমোড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হক (৩০)। বরগুনা পৌর শহরের আমতলার পাড় এলাকায় আবদুল হকের শ্বশুরবাড়ি। লাশ দুটি স্বজনদের কাছে বুধবার হস্তান্তর করা হয়।

সর্বশেষ খবর