শনিবার, ১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচন

ঝিনাইদহে সংঘর্ষে নিহত এক, নৌকায় আগুন

প্রতিদিন ডেস্ক

পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন আগামী ৫ জানুয়ারি। সংশ্লিষ্ট এলাকায় গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি অজানা আশঙ্কা ও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটছে প্রতিপক্ষের কার্যালয় ভাঙচুর ও প্রতীক পুড়ানোর ঘটনাও। ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ফুলহরি ইউনিয়নের ভগবান নগর গ্রামে নৌকা প্রতীক পুড়িয়ে দেওয়া নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ১০ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়িতে অস্বস্তিতে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এরই মধ্যে ১৫ বিদ্রোহীকে আওয়ামী লীগ বহিষ্কার করলেও থামেনি তৎপরতা। ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, ঝিনাইদহের শৈলকুপার সারুটিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। গতকাল সন্ধ্যায় ইউনিয়নের কাতলাগাড়ী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, বিকালে কাতলাগাড়ী বাজারে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জুলফিকার কাইছার টিপুর দুই সমর্থকের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা দুই পক্ষকে বসিয়ে সমঝোতা করে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক হারান বিশ্বাস নামে নৌকা সমর্থকের একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মাঠে রয়েছে।

এদিকে শৈলকুপার ফুলহরি ইউনিয়নের ভগবান নগর গ্রামে নৌকা মার্কা পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় ইউনিয়নজুড়ে বিরাজ করে চরম উত্তেজনা। গতকাল সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামীম খান।

ফুলহরি ইউপির নৌকা মনোনীত প্রার্থী জামিনুর রহমান বিপুল অভিযোগ করেন- স্বতন্ত্র আনারস মার্কার প্রার্থী আওলাদ হোসেনের উসকানিতেই নৌকা পোড়ানো হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত বিদ্রোহী আনারস মার্কা (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আওলাদ হোসেন জানান, এটি নৌকা প্রার্থীর নিজেরই ষড়যন্ত্র। এসব করে কোনো লাভ নেই। জনগণ তাকে ভোটের মাধ্যমে পরাজিত করবেই। শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, ৫ম ধাপে শৈলকুপায় ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে ইভিএম ও বাকি ৯টিতে ব্যালটের মাধ্যমে আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গতকাল রাত ৮ টায় মারামারি ঘটনা ঘটেছে। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী

শাহজালাল বাদল ও তার প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীরের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে শাহআলম (৪৫), বিল্লাল হোসেন (৩৫), আনোয়ার হোসেন আনু (৪৫), মোর্শেদা ওরফে মশু (৩৫), শাওন (১৮), আহত হয়েছে। আহতদের নারায়ণগঞ্জ ও স্থানীয় হাসপতালে পাঠানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। প্রতীক বরাদ্দের পর জোরোশোরে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। তবে প্রতিটি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় অস্বস্তিতে আছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। তবে এরই মধ্যে ১৫ বিদ্রোহীকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৬২ প্রার্থী। এর মধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের সঙ্গে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা সমান্তরালে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিপুলসংখ্যক বিদ্রোহী থাকায় নির্বাচনী মাঠে অস্বস্তিতে পড়ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। মজলিশপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. তাজুল ইসলাম (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. শরিফুল ইসলাম (চশমা), স্বতন্ত্র আশরাফুল ইসলাম (আনারস), বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র মো. নাছির (মোটরসাইকেল) ও স্বতন্ত্র মো. মিজানুর রহমান (ঘোড়া)।

বুধল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. আবদুল হক (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. আবদুল হামিদ (আনারস), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মনিরুজ্জামান-(চশমা), স্বতন্ত্র মো. মিজান মিয়া  (টেলিফোন), ইসলামী ঐক্যজোটের আতিকুর রহমান-(মোটরসাইকেল), বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র আবদুল্লাহ আল রাকিব-(ঘোড়া), ইসলামী আন্দোলনের হুমায়ূন কবির (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র মো. ইলিয়াছ (অটোরিকশা)।

সুহিলপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত আবদুর রশীদ ভূইয়া-(নৌকা), স্বতন্ত্র মো. শফিকুল ইসলাম-(চশমা), বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র কামরুজ্জামান খান (ঘোড়া), বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র মো. আলাউদ্দিন-(আনারস), বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র মো. আবদুল মতিন মুন্সী-(মোটরসাইকেল) ও ইসলামী আন্দোলনের মো. মোস্তাক (হাতপাখা)।

নাটাই উত্তর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. হাবিবুল্লাহ বাহার-(নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. হালিম শাহ লিল মিয়া-(আনারস), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. মোবারক হোসেন-(টেলিফোন), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আমির হোসেন-(মোটরসাইকেল), জাতীয় পার্টির রাশেদ মিয়া (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র কেফায়েত (ঘোড়া), স্বতন্ত্র আবু সাঈদ-(চশমা), স্বতন্ত্র হামদু মিয়া (রজনীগন্ধা) ও ইসলামী আন্দোলনের মো. রজব আলী (হাতপাখা)। তালশহর পূর্ব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত আবদুস সালাম-(নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এনামুল হক-(মোটরসাইকেল), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আল-আমিন (টেলিফোন), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জায়েদুল কবির (ঘোড়া), স্বতন্ত্র সাইফুল্লাহ-(অটোরিকশা), বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র ফয়জুর রহমান (আনারস), স্বতন্ত্র মনিরুল ইসলাম-(চশমা) ও ইসলামী আন্দোলনের পাভেল (হাতপাখা)। বাসুদেব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত এম আলম ভূইয়া-(নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেছার উদ্দিন শেরশাহ-(ঘোড়া), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবদুল হাকিম মোল্লা (আনারস), স্বতন্ত্র নিজাম উদ্দিন ভূইয়া-(চশমা), স্বতন্ত্র আয়নাল হক (টেলিফোন) ও ইসলামী আন্দোলনের জাফর আহমেদ-(হাতপাখা)। সাদেকপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নাছির উদ্দিন (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সাইদুজ্জামান (আনারস), স্বতন্ত্র মুজিবুর রহমান-(মোটরসাইকেল), বিএনপি সমর্থিত জহিরুল ইসলাম-(টেলিফোন), বিএনপি সমর্থিত হারুন অর রশিদ-(চশমা) ও স্বতন্ত্র  প্রার্থী হাবিবুর রহমান-(ঘোড়া)। রামরাইল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত শাহাদাত খান-(নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মশিউর রহমান সেলিম-(আনারস) আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শাহীন ভূইয়া বাবু-(ঘোড়া) ও জাতীয় পার্টির আবুল কালাম (লাঙ্গল)। মাছিহাতা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত আলামিনুল হক-(নৌকা), স্বতন্ত্র মোশারফ হোসেন মুন্সী-(আনারস), ইসলামী আন্দোলনের মাসুম-(হাতপাখা)।

সুলতানপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ওমর ফারুক-(নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শেখ মোহাম্মদ মহসিন-(আনারস), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সুধীর চন্দ্র ঘোষ-(ঘোড়া), জাতীয় পার্টির হোসেন মিয়া-(লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের আক্কাস মিয়া-(হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র গাজী শাহীন-(চশমা)। এদিকে দল থেকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় ১৫ বিদ্রোহীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ। গত ২১ ডিসেম্বর তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন, মজলিশপুর ইউনিয়নে মো. শরিফুল ইসলাম, বুধল ইউনিয়নে মো. আবদুল হামিদ ও মনিরুজ্জামান, নাটাই উত্তর ইউনিয়নে মো. হালিম শাহ লিল মিয়া, কাজী মো. মোবারক হোসেন ও আমির হোসেন, তালশহর পূর্ব ইউনিয়নে এনামুল হক ওসমান ও আল-আমিন, বাসুদেব ইউনিয়নে নেছার উদ্দিন শেরশাহ ও আবদুল হাকিম মোল্লা, সাদেকপুর ইউনিয়নে সাইদুজ্জামান মাস্টার, রামরাইল ইউনিয়নে মশিউর রহমান সেলিম ও শাহীন ভূইয়া বাবু, সুলতানপুর ইউনিয়নে শেখ মোহাম্মদ মহসিন ও সুধীর চন্দ্র ঘোষ।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেন, বিদ্রোহী থাকায় কিছু কিছু জায়গায় আমাদের অস্বস্তি ছিল। বিদ্রোহীদের দল থেকে বহিষ্কার করায় যতটুকু অস্বস্তি ছিল তা কেটে গেছে। দলীয় নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবেই দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।

নাটোর : গত ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে নাটোরের সিংড়া উপজেলার ৬ নম্বর হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নলবাতা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সদস্য প্রার্থীদের ভোট গণনায় কারচুপির প্রতিবাদ ও পুনরায়  ভোট গণনার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ওয়ার্ডবাসী। গতকাল সকাল ১০টায় ৬ নম্বর ওয়ার্ডবাসীর আয়োজনে পাঁচ লাড়ুয়া বাজারে এই মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোস্তফা কামাল (তালা), মো. সিদ্দিকুর রহমান (টিউবওয়েল),  মো. আবদুল হালিম খান (ফুটবল), জাহেদ আলী, দেলোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নলবাতা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের যোগসাজশে প্রতিপক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেনের কর্মী-সমর্থকরা  ভোট গণনার কিছুক্ষণ আগে ভয়ভীতি দেখিয়ে এজেন্টদের স্বাক্ষর নিয়ে ভোট  কেন্দ্র থেকে বের করে দেন এবং কেন্দ্রের বাইরে অতর্কিতভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা করেন। এমন বিশৃঙ্খলার সুযোগে ভোট কারচুপি করে দেলোয়ারের বৈদ্যুতিক পাখাকে বিজয়ী ঘোষনা করেন প্রিসাইডিং অফিসার। বক্তারা ভোট কারচুপির তীব্র প্রতিবাদ ও পুনরায় ভোটের ব্যালট গণনার দাবি জানান। এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বী সদস্য প্রার্থী মোস্তফা কামাল (তালা) ও মো. সিদ্দিকুর রহমান স্বাক্ষরিত পৃথকভাবে উপজেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবর ভোট কারচুপির অভিযোগ ও পুনরায় গণনার দাবি করে লিখিত আবেদন করেন ওই দুই ভুক্তভোগী সদস্য প্রার্থী।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল আলম বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কোনো করণীয় নেই, এটা নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিষয়।

সর্বশেষ খবর