শিরোনাম
রবিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

শীতে বিপর্যস্ত উত্তরের জনপদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

শীতে বিপর্যস্ত উত্তরের জনপদ

শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঠান্ডায় সবকিছু জবুথবু। সন্ধ্যার আগেই কুয়াশার চাদরে ঢাকতে শুরু করে সবকিছু। সূর্যের দেখা মিলতে গড়িয়ে যাচ্ছে বেলা। দিনেও আলো জ্বালিয়ে চলছে পরিবহন। শীতের তীব্রতায় গভীর সংকটে অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষ। স্থবির কর্মচাঞ্চল্য। আগামী চার-পাঁচ দিন দেশের তাপমাত্রা আরও কমে শৈত্যপ্রবাহের এলাকা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক গতকাল রাতে জানান, পঞ্চগড় ও মৌলভীবাজারের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকবে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৯.৪ ডিগ্রি আর শ্রীমঙ্গলে ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের চার-পাঁচ দিন তাপমাত্রা আরও কমবে। বিশেষ করে রাতের তাপমাত্রা বেশি কমবে। এতে রাজশাহী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। এরপর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও নদী অববাহিকার কোথাও কোথায় মাঝারি থেকে ঘন এবং অন্যান্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। আমাদের পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, হিমালয় থেকে আসা ঠান্ডা বাতাস ছড়িয়ে পড়েছে উত্তরের সব জেলায়। রাত যত বাড়ে ঠান্ডার তীব্রতাও তত বাড়ে। পানি বরফের মতো ঠান্ডা। বয়স্ক ও শিশুরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সবচেয়ে বিপাকে দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ। প্রচন্ড শীতে কাজে যেতে পারছে না।

তাদের রোজগার কমেছে। শীতবস্ত্রের দোকানগুলোয় ভিড় বেড়েছে। বেড়েছে শীতবস্ত্রের দামও। এতে দরিদ্র মানুষ শীতের কাপড় কিনতে পারছে না। ইতোমধ্যে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে শীতের কাপড় বিতরণ হলেও তা অপ্রতুল। অনেকে বলছেন, শুধু কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। কম্বল রাতের বেলা ব্যবহার করা গেলেও দিনে গায়ে দিয়ে কাজে যাওয়া যায় না। তাই সোয়েটার, জ্যাকেট এবং শিশুদের গরম পোশাক বিতরণ করা দরকার। তেঁতুলিয়ার ডাক্তারপাড়া গ্রামের কৃষিশ্রমিক হজিবুল ইসলাম বলেন, ‘ঠান্ডায় কাজে যেতে পারি না। সকালবেলা মাটিখান ঠান্ডায় কামড়ায় ধরে। এখনো কোনো শীতের কাপড় বা কম্বল পাই নাই।’

সর্বশেষ খবর