সোমবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ছাদবাগানে এখন সবই হয়

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

ছাদবাগানে এখন সবই হয়

শখের বশে কিংবা নিজ পরিবারের বিষমুক্ত পুষ্টির চাহিদা মেটাতে শহরের মানুষের ছাদবাগানের বিকল্প নেই। আর এ কারণে ছাদে বাগান করে সুফল পাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য সচেতনতা ও নিরাপদ ফল-সবজি পেতে অনেকেই ছাদে বাগান তৈরির অনুপ্রেরণা পাচ্ছে।

দৃষ্টিনন্দন ছাদবাগান দিতে পারে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও নিরাপদ ফল-সবজি। অনেকে ছাদবাগান সৃষ্টিতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। তাই সৌখিন বাগানিরা বাড়ির ছাদে গড়ে তুলছেন নানা ধরনের ফল, ফুল ও সবজি বাগান। এসব ছাদবাগানে বিভিন্ন জাতের মৌসুমি ফল, ফুল ও সবজি শোভা পাচ্ছে। ছাদে দৃষ্টিনন্দন ফলের বাগান গড়ে তুলেছেন সদর উপজেলার চেরাডাঙ্গি আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মোহাইমিনুল ইসলাম মোমিনুল।

অধ্যক্ষ মো. মোহাইমিনুল ইসলাম দিনাজপুর সদরের আউলিয়াপুর ইউপির মাসিমপুরে তার দ্বিতল ছাদে গড়ে তুলেছেন এই ছাদ কৃষি বাগান। শখের বসে প্রকৃতিকে ভালোবেসে গড়ে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন এই ছাদ কৃষি। ওই ছাদের টবে শোভা পাচ্ছে, দার্জিলিং, ছাদকি, ছাতকি, ভুটানি, কাশ্মীরি ও নাগপুরী কমলা, বারি-১ জাতের মাল্টা, মিষ্টি জাতীয় মরিচ, সৌদি আরবের ওয়াটার মিলন ও রগমেলন, বেদানা, থাই সেভেন পেয়ারা, ডালিম, ড্রাগন, শালগম, কফি, লেবুসহ ৩০ প্রজাতির ফলের গাছ। রয়েছে কিছু ফুলের গাছও। অধ্যক্ষ মোহাইমিনুল জানান, শহরে বসবাসরত মানুষ তাদের ভবনের ছাদে স্বল্পপরিসরে ফল ও সবজি উৎপাদন করে প্রতিদিন বিষমুক্ত ফল-সবজি খেতে পারেন। নিজেদের চাহিদাও মিটবে পাশাপাশি বিক্রিও করতে পারবেন। ছাদের ওপরে সারিবদ্ধভাবে বড় টবে মাটি ভরাট করে একটি করে ফলদ গাছ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শখের বশে নিজের পরিচর্যায় এ ফলদ বাগান গড়ে তুলেছেন। অবসর সময়ে বাগানে সময় কাটান তিনি। প্রথম দিকে মাল্টা, কমলা চারা দিয়ে বাগান শুরু করেন। বছর শেষে বাগান থেকে মিষ্টি ও সুস্বাদু মাল্টা পেয়েছেন। পর্যায়ক্রমে তিনি সৌদি আরবের ওয়াটার মিলন ও রগমেলন, পেয়ারাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ রোপণ করেন। আসলে মনের আগ্রহ থেকেই এই বাগান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর