মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
মহিলা পরিষদের তথ্য

২০২১ সালে ধর্ষণের শিকার ১২৩৫ জন

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ১৭৯ জন, ৩ হাজার ৭০৩ নারী-শিশু নির্যাতিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

সদ্য বিদায়ী ২০২১ সালে ১৭৯ জন নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে কন্যাশিশু ৬২ জন। এ ছাড়াও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন আরও ১ হাজার ২৩৫ জন। যার মধ্যে কন্যাশিশু রয়েছে ৬২৯ জন। সবমিলিয়ে গেল বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ হাজার ৭০৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদায়ী বছরে ৯৩টি কন্যাশিশুসহ ১৫৫ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ১৪টি কন্যাশিশুসহ ৩৩ জন শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে। ৬২টি কন্যাশিশুসহ ৯৫ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। পাঁচজন কন্যাশিশুসহ অ্যাসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ২২ জন। এর মধ্যে অ্যাসিডদগ্ধের কারণে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে তিন কন্যাশিশুসহ ২৩ জন। এর মধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫৩ জন কন্যাশিশুসহ নারী ও কন্যাশিশু অপহরণ হয়েছে ১৮০ জন। এ ছাড়াও আট কন্যাশিশুসহ ১১ জনকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। ছয় কন্যাশিশুসহ ৪২ জন নারী ও কন্যাশিশু পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছে মহিলা পরিষদ। এর মধ্যে দুজনকে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে। ৩২ কন্যাশিশুসহ ৪৬ জন উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে। তার মধ্যে একটি কন্যাশিশুসহ উত্ত্যক্তকরণের জন্য আত্মহত্যা করেছে দুজন। তিনজন কন্যাশিশুসহ যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৩৮ জন। এর মধ্যে ৪৫ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। ৫৮ জন কন্যাশিশুসহ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২০৮ জন। বিভিন্ন কারণে ১১৪ কন্যাশিশুসহ ৪৪৪ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ১৯ কন্যাশিশুসহ ৮৭ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৩১ কন্যাশিশুসহ ৪২৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৪৩ কন্যাশিশুসহ ১২১ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনা ঘটেছে চারটি। পাঁচ কন্যাশিশুসহ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ১১ জন।

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের ঘটনা ঘটেছে চারটি। ফতোয়ার ঘটনা ঘটেছে দুটি। বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ৩২৭টি। এর মধ্যে প্রতিরোধ করা হয়েছে ৪৩টি। ২৩ কন্যাশিশুসহ ৬৩ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। এ ছাড়াও ২৬ জন নারী ও কন্যাশিশু অন্যান্য নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সংবাদ পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী করোনাকালীন সময়ে শুধুমাত্র কিশোরগঞ্জ জেলাতেই মাদরাসার ২৬০ জন ছাত্রীর বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে। করোনাকালীন সময়ে দেড় বছরে শুধু টাঙ্গাইল জেলাতেই ১ হাজার ২৪২টি বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে।

সর্বশেষ খবর