বছরের শুরুতে আবারও কমানো হলো রান্নায় ব্যবহৃত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ও পরিবহনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত এলপিজির (অটোগ্যাস) দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় নতুন করে এ দাম কমানো হয়েছে। এর ফলে চলতি জানুয়ারি মাসের জন্য বেসরকারি পর্যায়ে মূসকসহ প্রতি কেজি এলপিজি ১০২ টাকা ৩২ পয়সা থেকে কমিয়ে ৯৮ টাকা ১৭ পয়সা করা হয়েছে। এতে এখন থেকে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ১৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে এর দাম ছিল ১ হাজার ২২৮ টাকা। অর্থাৎ সিলিন্ডারপ্রতি কমেছে ৫০ টাকা করে। গতকাল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কর্তৃপক্ষ অনলাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এলপিজির নতুন এই দাম ঘোষণা করে। নতুন এই দাম গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকেই কার্যকর শুরু হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসেও বেসরকারি পর্যায়ে মূসকসহ প্রতি কেজি এলপিজি ১০৯ টাকা ৪২ পয়সা থেকে কমিয়ে ১০২ টাকা ৩২ পয়সা করা হয়। এতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৩১৩ টাকা থেকে কমে হয় ১ হাজার ২২৮ টাকা। নতুন ঘোষণায় ১২ কেজির পাশাপাশি সাড়ে পাঁচ কেজি, সাড়ে ১২ কেজি, ১৫ কেজি, ১৬ কেজি, ১৮ কেজি, ২০ কেজি, ২২ কেজি, ২৫ কেজি, ৩০ কেজি, ৩৩ কেজি, ৩৫ কেজি ও ৪৫ কেজি সিলিন্ডারের দামও কমানো হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত (রেটিকুলেটেড) এলপিজির দামও কমানো হয়েছে। প্রতি কেজি ৯৯ টাকা ০৮ পয়সা থেকে কমিয়ে ৯৪ টাকা ৯৪ পয়সা করা হয়েছে। আবার জানুয়ারি মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৫৪ টাকা ৯৪ পয়সায় বিক্রির আদেশ দেওয়া হয়। এটি ডিসেম্বরে ছিল ৫৭ টাকা ২৪ পয়সা। অর্থাৎ লিটারে অটোগ্যাসের দাম কমেছে প্রায় ২ টাকা ৩০ পয়সা। সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল, সচিব আবু সায়িদ, সদস্য মকবুল ই ইলাহিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বলা হয়, সৌদি সিপি অনুযায়ী জানুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম যথাক্রমে প্রতি টন ৭৯৫ ডলার থেকে কমে ৭৪০ এবং ৭৫০ ডলার থেকে কমে ৭১০ ডলারে নামে। প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় জানুয়ারি মাসের জন্য এ নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, প্রতি মাসে সৌদি সিপি, মূসক ও ডলারের বিনিময়মূল্য- এই তিনটি সূচকের ওঠানামার ওপর ভিত্তি করে এলপিজির দাম ঠিক করা হচ্ছে। তবে সরকারি এলপিজির ক্ষেত্রে এসব বিষয় না থাকায় আপাতত দাম অপরিবর্তিত থাকছে।
