শুক্রবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন

ঠিকাদারের রাজত্ব সহ্য করা হবে না : তৈমূর

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি

ঠিকাদারের রাজত্ব সহ্য করা হবে না : তৈমূর

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে নাসিকে ঠিকাদারের রাজত্ব সহ্য করা হবে না। তিনি বলেন, মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। নাসিকে ১৭৬টি ঠিকাদারি সংস্থা লিস্টেড ছিল। সেখানে এখন মাত্র ২২-২৩ জন ঠিকাদার। এর মধ্যে দুজন সব কন্ট্রোল করছেন- এটা নারায়ণগঞ্জে ওপেন সিক্রেট। তৈমূর বলেন, আমি আলী আহমদ চুনকা (আইভীর বাবা) থেকে একটা নীতি শিখেছি। তিনি পৌর চেয়ারম্যান থাকতে তাঁর গাড়িতে কোনো ঠিকাদারকে উঠতে দিতেন না। আমি বিআরটিসির চেয়ারম্যান হওয়ার পর আমার রুমে-গাড়িতে কোনো ঠিকাদারকে ঢুকতে দিতাম না। তৈমূর খন্দকার গতকাল দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আদমজী কদমতলী পুল এলাকায় গণসংযোগকালে ভোটারদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকারি দলের বড় বড় নেতা-এমপিরা আমার বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় কথা বলছেন। তাঁরা ঢাকা থেকে এসে এসব বলেন।

 কিন্তু নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাকে চেনে। আওয়ামী লীগের যিনি প্রধান তিনিই তিনবার বলেছেন তৈমূর জেতার মতো লোক। মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কথা বিশ্বাস করবে না তো কি সরকারি দলের এমপি-মন্ত্রীদের কাহিনি বিশ্বাস করবে? তৈমূর বলেন, নারায়ণগঞ্জবাসী একজন প্রার্থী দীর্ঘদিন যাবৎ খুঁজছিল। আমি কয়েকবার দাঁড়াইনি আর একবার আমার দল নিজেই বসে গেছে। তখন আমার কিছু করার ছিল না যেহেতু আমি দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছি। আমি জনগণের ফুলের মালা পাচ্ছি এখন। জনগণ চারদিক থেকে এসে ফুলের মালা দিচ্ছে, ফুল ছিটিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে। তিনি বলেন, গাছতলা থেকে বাইশতলা পর্যন্ত মানুষ আমাকে চেনে। নারায়ণগঞ্জের মানুষের মন থেকে আমাকে সরাতে পারবে না। আমি মানুষের প্রয়োজনে দলের বাইরে এসে এখানে নির্বাচন করছি। দলের লোকজনও আমার সঙ্গে আছে কারণ তারা জানে আমার শরীরে সরকারি দলের গুলি আছে। আমি জানি আমার শরীরের অবস্থা কেমন যায়। আমাকে বারবার পুলিশ পিটিয়েছে তারা জানে। তাই আমার নেতা-কর্মীরা আমাকে ছেড়ে যায়নি। নেতা-কর্মীরা জানে কতবার আমি কারাগারে গিয়েছি কিন্তু আপস করিনি। ভয়ে মরে কাপুরুষ, লড়ে যায় বীর- নীতিতে আজ পর্যন্ত অবিচল আছি। গণসংযোগের সময় তৈমূরের সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল, ফতুল্লা থানা বিএনপি সভাপতি খন্দকার মুনিরুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি ওকিলউদ্দীন ভুইয়া, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মোশারফ হোসেন ভুইয়া, সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম মুহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর