শনিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

নিয়ন্ত্রণে আসছেই না বাজারদর

কমেছে মুরগির দাম, সবজি চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিয়ন্ত্রণে আসছেই না বাজারদর

ক্রেতা সাধারণের নাগালের মধ্যে নেই বাজারদর। বাজারে কাঁচা সবজি সরবরাহে কোনো কমতি না থাকলেও ক্রেতারা তার সুফল পাচ্ছেন না। বিভিন্ন বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি। তবে গত কয়েক দিনের ব্যবধানে বাজারে মুরগির দাম কমেছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ভোক্তারা বলছেন, লাফিয়ে লাফিয়ে চলা বাজারদর সরকারের শক্তভাবে মনিটরিং করা উচিত।

রাজধানীর বাজারগুলোতে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ১৫ টাকা। আর পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগি দাম কেজিতে কমেছে ৬০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা। আর গত সপ্তাহে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগির দাম কমে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সব ধরনের শীতের সবজি ভরপুর থাকলেও দাম কমেনি। এর সঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে পিঁয়াজ ও আলুর দাম। মাছের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। রামপুরা বাজারে কথা হয় ক্রেতা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, শীতের মধ্যে সবজির সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। ভেবেছিলাম কম দামে সবজি খেতে পারব। কিন্তু তার কোনো উপায় নেই। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ফুলকপির পিস বিক্রি করছেন ৩০ থেকে ৫০ টাকা। বিচি ছাড়া শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বিচি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। একইসঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে আলুর দাম। গত সপ্তাহের মতো নতুন আলুর কেজি ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় রয়েছে পাকা টমেটো। গত সপ্তাহের মতো পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। তবে গাজরের দাম ১০ টাকা কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ওলকপি প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলাশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এ গুলোর দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ী মো. মিলন বলেন, সরবরাহ কম থাকায় ব্রয়লার মুরগির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছিল। এখন আবার মুরগির সরবরাহ বাড়ছে। তাই দাম কিছুটা কমেছে। আমাদের ধারণা আগামী সপ্তাহে মুরগির দাম আরও কমতে পারে। মুরগির দাম বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। গত সপ্তাহের মতো ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। একইসঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে পিঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহের মতো নতুন দেশি পিঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। খিলগাঁও বাজারে সবজি কিনতে আসা লতিফুল ইসলাম বলেন, আসলে বাজারে কোনো নজরদারি নেই সরকারের। তাই যখন যার ইচ্ছা হচ্ছে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে চলা এ বাজারদর শক্তভাবে মনিটরিং করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এছাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকায়। এছাড়া চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজিতে।

সর্বশেষ খবর