জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা হয়েছে। গতকাল সকালে যমুনা সার কারখানা এলাকায় তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এ হামলায় কেন্দ্রের ইনচার্জসহ অন্তত ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সদ্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি থানায় জিডি করার পর সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের লোকজন রাতভর তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা এলাকায় আতশবাজি করেন। গতকাল সকালে যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে তারা দেশি অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেন। পুলিশ এতে বাধা দিলে তারা সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় পুলিশ পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের মো. আবদুল মজিদের ছেলে বিদ্যুৎ হোসেন (২০) ও কান্দারপাড়া গ্রামের দানেশ মন্ডলের ছেলে মোর্শেদকে (৪০) গ্রেফতার করে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা চালান। এ সময় তদন্ত কেন্দ্রের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিলে দেয়ালের ওপর দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল লতিফ, এসআই শফিউল আলম সোহাগ, সুলতান মাহমুদ, এএসআই মেহেদী হাসান, কনস্টেবল খোকনুজ্জামান ও সোলায়মান আহত হন। তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল লতিফ জানান, একাধিক মামলার আসামি মোর্শেদের নেতৃত্বে ৬০-৭০ ব্যক্তি সকাল থেকে কারখানা এলাকায় দেশি অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। মোর্শেদকে আটক করা হলে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়ে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
