নাসিক নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, তিনি শামীম ওসমানের পায়ে হাঁটেন না। তিনি চলেন নিজস্ব জনশক্তিতে। তৈমূর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি নাসিকের ভোটার হতেন তাহলে তিনি আমাকেই ভোট দিতেন। কারণ বঙ্গবন্ধুকন্যা হাসিনা ২০১৮ সালে বলেছিলেন তৈমূর জেতার মতো লোক। প্রধানমন্ত্রী যদি নারায়ণগঞ্জের ভোটার হতেন তবে তাঁর কাছেও আমি ভোট চাইতে যেতাম। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমার স্বচ্ছতা ও গণমুখী কর্মকান্ডের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকেই ভোট দিতেন।’
তৈমূর গতকাল সিদ্ধিরগঞ্জের ৩ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জালকুড়ি কড়ইতলা, জালকুড়ি পশ্চিমপাড়া, উত্তরপাড়া, সিকদারবাড়ী, তালতলা, সানারপাড়, নিমাইকাশারী, বাগমারা, মাদানীনগর, রসুলবাগ ও নয়াআটি মুক্তনগর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় বক্তৃতা করছিলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম জুয়েল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি আফজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তৈয়ব হোসেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি বাবুল প্রধান, সাধারণ সম্পাদক রফিক দেওয়ান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি নেতা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল প্রধান, বিএনপি নেতা হারুন মাস্টার, মো. শরিফ হোসেন, মোল্লা সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ। তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, কেউ যদি মনে করে গণমানুষের চাহিদা পূরণের জন্য, উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পুনর্বাসনের জন্য তৈমূরকে প্রয়োজন, যদি ভাবে তৈমূরের হাতে নাসিক নিরাপদ তাহলে তারা ভাবনামতোই কাজ করবে।
তিনি বলেন, ‘আইভীকে নাকি কেউ সাপোর্ট দেয় না। বর্ধিত ট্যাক্সের কারণে ক্ষুব্ধ তাঁদের এমপি এবং দলের নেতা-কর্মীরা যদি তাঁকে সাপোর্ট না দেন তা কি আমার দোষ!’ তৈমূর বলেন, ‘সাংবাদিকরা আমার সঙ্গে হেঁটে দেখুন। দেখবেন এক শ লোক নিয়ে বের হচ্ছি আর ক্রমেই তা বাড়তে বাড়তে হাজার লোক হয়ে যাচ্ছে। সব দল-মতের লোকই আমার সঙ্গে হাঁটছে। মেয়র থাকতে আইভী অ্যাপার্টমেন্ট বানিয়েছেন। অ্যাপার্টমেন্ট বানানো কি সিটি করপোরেশনের কাজ? ওটা তো করবে রাজউক। আবার সেই অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রির স্বচ্ছতা নিয়েও অভিযোগ কম নয়। যেখানে কমিউনিটি সেন্টার করা উচিত ছিল সেখানে তারা তা করেনি। তারা দোকান ও ফ্ল্যাট বানিয়ে বিক্রি করেছে।’ শামীম ওসমান ও আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি তো আওয়ামী লীগের ভোটও চাই।’