রবিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

রামসাগর উদ্যানে চিত্রাহরিণের দল

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

রামসাগর উদ্যানে চিত্রাহরিণের দল

প্রকৃতির নয়নাভিরাম রামসাগরের মিনি চিড়িয়াখানায় মায়াবী চিত্রাহরিণের ঘরে আরও সাত নতুন অতিথি এসেছে। শীতের মধ্যে রোদের আলোয় নতুন অতিথিদের নিয়ে ছোটাছুটি করে চিত্রার দল; যা দর্শনার্থী-পর্যটকদের দৃষ্টি কেড়েছে।

দিনাজপুরে মধ্যযুগের বিখ্যাত সামন্ত রাজার অমর কীর্তি রামসাগর যা বাংলার এক সৌন্দর্যমন্ডিত ঐতিহাসিক দিঘি। অপরূপ দিঘিটি পর্যটকদের মন ছুঁয়ে যায় ভালোলাগার পরশে। এখানে সবার দৃষ্টি কাড়ে চিত্রাহরিণগুলো। রামসাগর জাতীয় উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় এখন নতুন অতিথি নিয়ে ৭১টি চিত্রাহরিণ পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে। মুক্ত পরিবেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চিত্রার পাল। এ ছাড়া এখানে রয়েছে অজগর, বানর, পাখিসহ আরও কিছু বন্যপ্রাণী। এসবের দেখভাল করেন বন বিভাগের বাবুল।

চিড়িয়াখানায় চিত্রাহরিণের সংসারে চলতি শীত মৌসুমে এসেছে সাতটি নতুন অতিথি। এ নিয়ে এখন এখানে রয়েছে ৭১টি চিত্রাহরিণ। দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছেই। আরও কিছু মা হরিণ গর্ভধারণ করেছে, যারা ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রসব করবে বলে জানান দিনাজপুর বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা ও রামসাগর জাতীয় উদ্যানের তত্ত্বাবধায়ক মো. সাদেকুর রহমান। চিত্রাহরিণগুলোর খাদ্যের জন্য সঠিক সময়ে বাজেট আসে না। এতে একটু সমস্যা হয় যা স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা করা হয়। পরে বাজেট এলে তা সমন্বয় করা হয়। হরিণগুলোকে ছোলা, নেপিয়ার ঘাস, গমের ভুসি, ভুট্টা ভাঙা, চক্কর, লতাপাতা ইত্যাদি খাবার দেওয়া হয়। বন বিভাগের কয়েকজন জানান, চিত্রাহরিণের প্রিয় খাবার শাপলাপাতা। বরাদ্দ কম এলেও রামসাগর দিঘিতে শাপলা চাষ করতে পারলে হরিণের খাদ্য চাহিদা কিছুটা মেটানো সম্ভব হবে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে দিঘিতে মাছ শিকার, ইঞ্জিন নৌকা চালানোর কারণে শাপলা চাষ বন্ধ হয়ে গেছে। আবার রামসাগরের জলরাশির দেখভাল করে জেলা প্রশাসন। উল্লেখ্য, রামসাগর জাতীয় উদ্যানের চিড়িয়াখানায় সরকারিভাবে প্রথম ছয়টি চিত্রাহরিণ আনা হয়। হরিণগুলো দ্রুত বংশ বিস্তারে বাড়তে বাড়তে এদের সংখ্যা এখন বাচ্চাসহ ৭১।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর