রবিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
সুধারামে তরুণী ধর্ষণ

স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনীহা ভিকটিমের গ্রেফতার ৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীতে সুধারাম মডেল থানার বেষ্টনীর অভ্যন্তরে জেলা ট্রাফিক পুলিশের কোয়ার্টারে বাবুর্চির কক্ষে ধর্ষণের শিকার তরুণী তার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনীহা প্রকাশ করেছে। এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালের ঘটনায় ওইদিন রাতেই অভিযুক্ত চারজনকে আটক করা হয়। আটকরা হলো- নোয়াখালী জেলার সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল (কং/২৬৪) মকবুল হোসেন (৩২), বেগমগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের সিএনজিচালিত অটোচালক কামরুল (২৫), সদর উপজেলার দাদপুর গ্রামের আবদুল মান্নান (৪৯), বেগমগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের নুর হোসেন কালু (৩০)। শুক্রবার দুপুরে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে এ চার অভিযুক্তকে আসামি করে মামলা করলে তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনীহা প্রকাশ করে ভিকটিম তরুণী বলেন, পরীক্ষা করে লাভ কী? কী রিপোর্ট আসবে? হাসপাতালের আরএমওর কক্ষে ওই তরুণী আরও বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে নারী-পুরুষ দুজনেরই করতে হবে। আমি ঢাকায় স্বাস্থ্য ক্লিনিকে কাজ করি। কী রিপোর্ট আসবে আমি সব জানি। আমি একা কেন করব। পরে তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন না বলে স্বাক্ষর দেন। তবে এ সময় তার কথাবার্তায় কিছুটা উদাসীনতা দেখা গেছে। সুধারাম থানার পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান পাঠান জানান, নোয়াখালীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন ওই নারী। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরজাহানের আদালতে এ জবানবন্দি দেন। জানা গেছে, গতকাল দুপুরে ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার এজহারের বরাত দিয়ে জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিকটিম ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত কাজে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে আসেন। শহরে অবস্থানকালে তার টাকা-পয়সার সংকট দেখা দিলে ভিকটিম তার পূর্ব পরিচিত সিএনজিচালক মো. কামরুলের সঙ্গে দেখা করেন। এক পর্যায়ে কামরুল ও তার দুই সহযোগী আবদুল মান্নান ও নূর হোসেন কালু ভিকটিমকে সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল (মুন্সি) মকবুল হোসেনের কাছে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের সহযোগিতায় মুন্সি মকবুল হোসেন ভিকটিমকে ট্রাফিক পুলিশের বাবুর্চি আবুল কালামের রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরপরই ভিকটিম পাশের সুধারাম থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন। সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার চার আসামিকেই গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. সৈয়দ আবদুল আজিম জানান, মেয়েটি ইচ্ছাকৃতভাবে শারীরিক পরীক্ষায় রাজি নয়। রাজি হলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর