গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এর কনডেমড সেলে বসেই মোবাইল ফোন চালাতেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সেভেন মার্ডার মামলার ফাঁসিতে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি নূর হোসেন। তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ওই কনডেমড সেল থেকে জব্দ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১১ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। গতকাল কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার আবদুল জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এর একটি কনডেমড সেলে নূর হোসেনসহ তিনজন বন্দি ছিলেন। এদের মধ্যে নূর হোসেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সেভেন মার্ডার মামলার ফাঁসিতে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর। নূর হোসেন কারাগারের কনডেমড সেলে বসেই গোপনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন বলে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে একটি সংবাদ আসে। এ গোপন তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে বুধবার ওই সেলে অভিযান চালায় কারা কর্তৃপক্ষ। এ সময় সেখান থেকে বাটনযুক্ত একটি মিনি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়। জেল সুপার আরও জানান, কারাগারের অভ্যন্তরে মোবাইল ফোন ব্যবহারের অপরাধে নূর হোসেনের বিরুদ্ধে কারাবিধি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে তাকে ওই সেল থেকে অন্য কনডেমড সেলে স্থানান্তর করে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে। কারাগারের ভিতর কীভাবে মোবাইল ফোন আনা হয়েছে এবং এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কারাগারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক উম্মে সালমাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন সদস্যসচিব ডেপুটি জেলার নুরুল মবিন এবং সদস্য প্রধান কারারক্ষী মো. আসাদুজ্জামান। কমিটিকে আগামী ১১ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণ করে হত্যার পর লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবিয়ে রাখা হয়। ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত এ হত্যা মামলার রায়ে নূর হোসেন ও র্যাবের ৩ কর্মকর্তাসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদ এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদে র আদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত মৃত্যুদ প্রাপ্ত নূর হোসেনসহ ১৫ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রাখেন।
