সোমবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ফুল চাষে ভাগ্য বদল

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

ফুল চাষে ভাগ্য বদল

বগুড়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ফুল চাষ। বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ শুরু হয়েছে বিভিন্ন উপজেলায়। এতে স্থানীয় চাষিদের পাশাপাশি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই লাভবান হচ্ছেন। ফুল চাষের আয় দিয়ে নিজেদের সংসার পরিচালনা করছেন অনেকে।

জানা যায়, ২০০০ সালের দিকে বগুড়ায় ফুলের চাহিদা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তখন মহাস্থানগড়, শিবগঞ্জ, গাবতলী, সোনাতলা উপজেলায় শুরু হয় গোলাপ ও গাদা ফুল চাষ। স্থানীয় ফুল দিয়ে চাহিদা পূরণ হতে থাকে। পর্যায়ক্রমে ভুট্টা, গ্ল্যাডিয়া, রজনী দেশি ও হাইব্রিড, কামিনি ফুলসহ বিভিন্ন পাতারও চাষ শুরু করেন। বগুড়ায় বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষে এগিয়ে আছে সোনাতলা উপজেলা। সোনাতলায় ফুল চাষ করে ভাগ্য বদলেছে শতাধিক যুবকের। তাছাড়া কৃষি কাজের সঙ্গে ফুল চাষ করেই এখন বহু মানুষের সংসার চলছে। সোনাতলা উপজেলার চমরগাছা গ্রামের মোকলেছার রহমান জানান, ফুল চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায়। এ কারণে জেলায় ফুল চাষ বাড়ছে। বগুড়া শহরের ফুল মার্কেটের বিক্রেতা মোখলেছুর রহমান বাটু বলেন, সোনাতলা উপজেলায় যে ফুল চাষ হয় তা দিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যবসায় বেশি লাভ পাওয়া যায়। আগে যশোর থেকে ফুল নিয়ে আসতে হতো। তখন খরচ পড়ত বেশি। ফুলচাষিরা জানান, ফুলে উৎপাদন খরচ কম, লাভ বেশি। তাই দিন দিন সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষক অন্য ফসলের চেয়ে ফুল চাষে ঝুঁকছেন।

সোনাতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাছুদ আহম্মেদ বলেন, এফসিদিপি নামে একটি প্রকল্প থেকে ফুল চাষ শুরু হয় সোনাতলা উপজেলায়। এরপর থেকে ফুল চাষির সংখ্যা বাড়ছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ হয়ে থাকে। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষক বীজ বপনের তিন মাসের মধ্যে ফুল বিক্রি করতে পারেন। ফুল চাষে উৎপাদন খরচ কম লাভ বেশি। তাই দিন দিন কৃষকরা অন্য ফসলের চেয়ে ফুল চাষে ঝুঁকছেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর