মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

খুলনায় পরকীয়ার কারণে বাবা-মা ও মেয়ে খুন

রহস্য উদঘাটনের দাবি পুলিশের

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

বিকৃত যৌন লালসা, প্রতারণামূলক আর্থিক লেনদেন ও পরকীয়ার টানাপোড়েনে খুলনার কয়রায় একই পরিবারে বাবা-মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান। হত্যার আগে মা ও মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনাও ঘটে। গতকাল তিনি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

পুলিশ জানায়, এ পর্যন্ত ট্রিপল হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়রা বামিয়া গ্রামের আবদুর রশিদ গাজী (৩৪) হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া আরও ছয় আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে কয়রার বাগালী বামিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান (৩৬), তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (৩২) ও মেয়ে হাবিবা খাতুন টুনিকে (১২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন সকালে বাড়ির পাশে পুকুর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ বামিয়া গ্রামের জিয়াউর রহমান, রাজিয়া সুলতানাসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু ওই সময় জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য উদঘাটন হয়নি। পরে ৮ জানুয়ারি যশোর থেকে বামিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকান্ডের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। পুলিশ সুপার জানান, আব্দুর রশিদকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সাইফুল্লাহ, শাহীন, আব্দুল হক, তাসলিমাসহ আরও ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আব্দুর রশিদ গাজি আদালতে জবানবন্দিতে বলেছেন, অভিযুক্ত জিয়াউর রহমান ও রাজিয়া সুলতানার অবৈধ সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় হাবিবুর রহমানকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। গত ২৫ অক্টোবর রাতে জিয়াউর ও সামছুর নেতৃত্ব হাবিবুর, তার স্ত্রী ও মেয়েকে হাত-পা বেঁধে এবং হাবিবুরের স্ত্রী-মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। পরে তাদের মৃতদেহ পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। জানা যায়, ময়নাতদন্তে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ সুপার বলছেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনা উঠে এসেছে। তিনি বলেন, হত্যাকান্ডটি দলবদ্ধভাবে সংঘটিত হয়েছে। গ্রেফতারদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুরো ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর