বুধবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

পুড়ে যাওয়া বসতিতে ফিরছে রোহিঙ্গারা

তদন্ত কমিটি গঠন

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনে ৬০০ বসতবাড়ি পুড়ে  গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার রোহিঙ্গা। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পুড়ে যাওয়া বসতিতে ফিরতে শুরু করেছে রোহিঙ্গারা। ঘটনা তদন্তে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়নকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ মোহাম্মদ রেজওয়ান হায়াত। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ৮-এপিবিএন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন বলেন, অগ্নিকাে  পুড়েছে রোহিঙ্গাদের থাকার ঘর, ফায়ার ড্রাম, ওয়াটার ট্যাংক, কিচেন আইটেম, গ্যাস সিলিন্ডার, ফ্লোর ম্যাটসহ অনেক কিছু। এতে আনুমানিক ৪০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, আগুনে ঘর পুড়েছে ৪৬৭টি রোহিঙ্গার এবং ১০টি স্থানীয়দের। এ সময় ঘর ভাঙচুর হয়েছে ১২০টি। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের এনজিও সংস্থা ব্র্যাক, রিক শুকনো খাবার দিয়ে যাচ্ছে। সরেজমিন শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখা যায়, গতকাল বিভিন্ন জায়গা থেকে পুড়ে ছাই হওয়া বসতিতে ফিরে আসতে দেখা গেছে রোহিঙ্গাদের। পরিবারসহ পুরনো ঠিকানায় ফিরছে তারা। অনেকেই নতুন কাঠ, বাস নিয়ে ফিরছে। দেখা গেছে, স্বাস্থ্যকর্মীরা আহত মানুষদের সেবা প্রদান করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত আবুল কাশিম (৬৫) নামের এক রোহিঙ্গা জানান, আমাদের বাড়িঘর ও খাবারসহ সব পুড়ে গেছে। আমরা পরিবারসহ খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করেছি। সর্বস্ব হারিয়ে এখন পুড়ে যাওয়া স্থানেই ফিরেছি। ছৈয়দুল আহমদ নামের আরেক রোহিঙ্গা জানান, বাড়িঘর পুড়ে যাওয়ায় পরিবারসহ পার্শ্ববর্তী ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছিলাম। এখন পরিবারসহ ফিরে এলাম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে প্রাণে বাঁচতে রোহিঙ্গারা নিরাপদ স্থানে যায়। অনেকেই বিভিন্ন ক্যাম্পে স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ১৪টি পরিবারকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা করে মানবিক অর্থ সহায়তা দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।  উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়দের তাৎক্ষণিকভাবে ৭ হাজার ৫০০ টাকা করে মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঘর নির্মাণের জন্য টিন, কাঠ বরাদ্দের জন্য এনজিও সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর