বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

সাবেক স্বামীর আইডির ফটোকপির দাবিতে অনশন

মেয়েকে স্কুলে ভর্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য সাবেক স্বামীর আইডির ফটোকপির দাবিতে ১০ বছর বয়সী কন্যা মিথিলা খাতুনকে নিয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন নাটোরের জয়িতা নারী মরিয়ম খাতুন। গত সোমবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনশন করছেন তিনি।

মরিয়ম খাতুন ‘বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী’ ক্যাটাগরিতে ২০১৩ সালে জয়িতা সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। তিনি জানান, এখন সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েছেন মেয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করানো নিয়ে। কেননা ভর্তির জন্য পিতার জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন। কিন্তু মিথিলার বাবা সেটা দিচ্ছে না। তিনি আরও জানান, অনেক ভেবেচিন্তে তিনি কন্যাসহ স্বজনদের নিয়ে শাহআলমের (সাবেক স্বামী) জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি আনার জন্য শাহআলমের কর্মস্থলে গিয়েছিলেন। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি না দিয়ে শাহআলম তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তাড়িয়ে দেন। মরিয়ম উল্লেখ করেন, শাহআলমের বিচার দাবিতে কন্যাকে নিয়ে তিনি অনশনে বসেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শাহআলম নারী শিশু নির্যাতন মামলার আসামি। মানব পাচার মামলার আসামি।’

অনশন চলাকালে মরিয়মের কন্যা মিথিলা খাতুন বলেন, ‘আমি ছোট থাকতেই বাবা আমাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর থেকেই আমরা মামার বাড়িতে থাকি। বাবা আমার কোনো খোঁজ-খবর নেয় না। এখন স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য বাবার আইডি কার্ডের প্রয়োজন। কিন্তু তিনি আমাকে আইডি কার্ড না দিয়ে আমাদের অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছেন। পিতা হিসেবে তার কাছ থেকে আমার শিক্ষা খরচ প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ও স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য তার আইডি কার্ড পাওয়ার জন্য অনশনে বসেছি।’ মরিয়মের আত্মীয় ও বাংলাদেশ নারী মুক্তি আন্দোলনের সদস্য রুপালি খাতুন বলেন, ‘শাহআলম আমার ফুফুকে (মরিয়ম) বিয়ের পর অনেক অত্যাচার নির্যাতন করেছেন। এক পর্যায়ের তাকে তালাক দিয়েছেন। বর্তমানে তার মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করতে হলে বাবার পরিচয়পত্র প্রয়োজন। কিন্তু শাহআলম পরিচয়পত্রের ফটোকপি দিচ্ছেন না। আমরা তাই শাহআলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

সর্বশেষ খবর