ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে মাষকলাই খেতে দেখা মিলেছে সাড়ে ৪ ফুট দৈর্ঘ্যরে বিষধর রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া। শনিবার বিকালে উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের আমিন খার ডাঙ্গি গ্রামের সাত শ বিঘার ছাম নামের স্থানে কৃষকদের হাতে সাপটি মারা পড়ে। সদর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা সরোয়ার হোসেন (৪৮) বলেন, চর হরিরামপুরের শালেপুর পশ্চিম গ্রামের হালিম কাজীর মাষকলাই খেত দেখতে চরে যান। পাকা কলাই তুলতেছিলেন হালিমসহ আরও কয়েকজন। এ সময় হালিম চন্দ্রবোড়া সাপটি কুন্ডলী পাকিয়ে থাকতে দেখে চিৎকার করে ওঠেন। পরে অন্যরা এগিয়ে এসে ভীত হয়ে সাপটি মেরে মাটিতে পুঁতে রাখে। ২০১৬ সালে চরভদ্রাসনে চন্দ্রবোড়ার দেখা মিললেও কেউ সাপটিকে শনাক্ত করতে পারেনি। তখন এর দ্বারা কেউ আক্রান্ত না হলেও ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে এর বিস্তৃতি ঘটে। তখন শনাক্ত করা হয় এটি রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া। এর কামড়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরে এ সাপ উপজেলাব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এর উপদ্রব কমলেও প্রায়ই জনতার হাতে মারা পড়ছে চন্দ্রবোড়া। সাপটির ছবি দেখে চট্টগ্র্রাম মেডিকেল কলেজের বাংলাদেশ ভেনম রিসার্চ সেন্টারের ট্রেইনার ও সহকারী গবেষক বোরহান বিশ্বাস রমন বলেন, চন্দ্রবোড়ার বয়স চার বছরের বেশি হবে। তিনি আরও বলেন, চরভদ্রাসন থেকে উদ্ধার করা রাসেলস ভাইপার সাপের বিষ সংগ্রহ করে ভেনম রিসার্চ সেন্টারে গবেষণা চলছে। আমরা সাপের বিষের কম্পোনেন্ট ডিসার্ফার ও ক্যারেক্টারাইজেশন করতে সফল হয়েছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, চরভদ্রাসনে সাপের উপদ্রব কমেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এন্টিভেনম মজুদ রয়েছে।
