জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও অবমাননাকর বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে আইনি নোটিস দেওয়া হয়েছে। গতকাল জাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই নোটিস পাঠান। একই সঙ্গে নোটিস পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শাবি উপাচার্যকে তার ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। নোটিসে বলা হয়েছে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের হল সারারাত খোলা রাখার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে দেশের আরেকটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও অবমাননাকর মন্তব্য করেন শাবি উপাচার্য। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অডিও ক্লিপ থেকে জানা যায় সম্প্রতি শাবি উপাচার্য বলেছেন ‘জাহাঙ্গীরনগরের মেয়েদের কেউ সহজে বউ হিসেবে নিতে চায় না। কারণ সারারাত এরা ঘোরাফেরা করে।’ নোটিসে বলা হয়, ‘শাবি ভিসির এই বক্তব্য অশালীন, অবমাননাকর, কুরুচিপূর্ণ, সংবিধান বিরোধী এবং নারী শিক্ষার প্রতি চরম অন্তরায় স্বরূপ। জাবির ছাত্রীরা লেখাপড়া শেষে রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনকি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়েও অনেকে সুনামের সঙ্গে শিক্ষকতা করছেন। তাই উপরোক্ত বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে শাবি ভিসি জাবি ছাত্রীদেরই শুধু নয়, পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে চরমভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন।

তাই নোটিস প্রাপ্তির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাইবার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে নোটিসে উল্লেখ করা হয়।