শনিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

সারা দেশই ভয়াবহ বায়ুদূষণের শিকার

-ড. আবদুস সালাম

সারা দেশই ভয়াবহ বায়ুদূষণের শিকার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও বায়ুদূষণ বিষয়ক গবেষক ড. আবদুস সালাম বলেছেন, এয়ার ভিজ্যুয়ালের (একিউআই) সূচকে ঢাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। তবে বর্তমানে সারা দেশই ভয়াবহ বায়ুদূষণের শিকার। এমনকি বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি ভোলার বাতাসেও দূষণমাত্রা আশঙ্কাজনক। গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত বাতাসে দূষণের অন্যতম উপাদান পিএম-২.৫ এর সহনীয় মাত্রা হচ্ছে প্রতি ঘনমিটারে ১০ মাইক্রোগ্রাম। আমরা ঢাকার ৩৫টি স্থানে বায়ুমান পরিমাপক যন্ত্র বসিয়েছি, যেখানে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ২৫০ মাইক্রোগ্রাম পিএম-২.৫ উঠলেই এলার্ট সেট করে রাখা হয়। ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকেই ২০টি যন্ত্রে এলার্ম বাজা শুরু হয়। বঙ্গোপসাগরের কাছে ভোলায় তিন দিন আগে একটা যন্ত্র বসিয়েছি। আশ্চর্যের বিষয় হলো সেখানেও দূষণমাত্রা অনেক বেশি পেয়েছি। ঢাকায় প্রতি ঘনমিটার বাতাসে দূষণ যখন ২০০ মাইক্রোগ্রাম, ভোলায় তখন ১৬০-১৭০ মাইক্রোগ্রাম। দূষিত বায়ুর একটা প্রবাহ বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম ঘেঁষে দক্ষিণদিকে যাচ্ছে। তাই এখন শুধু ঢাকায়ই নয়, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বাতাসও দূষিত হয়ে উঠেছে। এই দূষণের পেছনে আমাদের নিজেদের সৃষ্ট দূষণ যেমন দায়ী, আবার সীমান্তের ওপার থেকেও দূষিত বাতাস ঢুকছে। তিনি বলেন, সন্ধ্যার দিকে দূষণ বেড়ে যাচ্ছে। কারণ তখন সূর্যের আলো থাকছে না। বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা কমলে ও আর্দ্রতা বাড়লে ওপর থেকে দূষিত পদার্থ নিচে নেমে আসে। এ ছাড়া রাতে ঢাকায় ট্রাক চলাচল শুরু হয়। এসব কারণে রাত যত বাড়ে, ঢাকার বাতাসে দূষণমাত্রা তত বাড়তে থাকে। ড. আবদুস সালাম বলেন, আগে বাতাসে পিএম-২.৫ এর সহনীয় মাত্রা নির্ধারিত ছিল প্রতি ঘনমিটারে ২৫ মাইক্রোগ্রাম। এটা ২৪ ঘণ্টার গড়। এখন করা হয়েছে ১০ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেখানে দূষণ আরও কমাতে বলছে, সেখানে আমাদের দূষণ বেড়েই যাচ্ছে। বাতাসে পিএম-২.৫ এর মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ২৫০ থেকে ৩০০ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত ওঠে যায়, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেঁধে দেওয়া সীমার ২৫-৩০ গুণ বেশি।

সর্বশেষ খবর