শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন হলো প্রাচ্যনাট প্রযোজিত নাটক ‘পুলসিরাত’। এটি দলের ৩৫তম প্রযোজনার নাটক। গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি। ফিলিস্তিনি লেখক ঘাসান কানাফানির উপন্যাস ‘মেন ইন দ্য সান’ অবলম্বনে মাসুমুল আলম অনূদিত ও মনিরুল ইসলাম রুবেলের নাট্যরূপে নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন- আজাদ আবুল কালাম, শাহরিয়ার ফেরদৌস, সাইফুল জার্নাল, মিতুল রহমান, জগন্ময় পাল, মনিরুল ইসলাম, চেতনা রহমান, তানজিকুন, শামীম শ্রাবণ, তৃপ্তি প্রমুখ।
গণ-অভ্যুত্থান ’৬৯ স্মরণ : বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান জাতিকে মুক্তির প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। মূলত এই গণ-অভ্যুত্থানই ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান স্মরণ বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। আর সে বিষয়টি উপলব্ধি করেই নানা আয়োজনে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান দিবস পালন করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
গতকাল জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিশেষ এই আয়োজন সাজানো ছিল আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তৃতা করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী।আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হলেও স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। সাম্প্রদায়িকতা, কুসংস্কার, দুর্নীতি ও জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের জয়ী হতে হবে। ডা. সারওয়ার আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা আন্দোলন ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে চূড়ান্ত পরিণতি পেয়েছিল। এ আন্দোলনের কারণেই আইয়ুব খান পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল ও বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল, ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছিল।
আলোচনার পর সাংস্কৃতিক পর্বে আবৃত্তি পরিবেশন করেন রফিকুল ইসলাম। ছড়া পাঠ করে পথশিশুদের নিয়ে পরিচালিত স্কুল ইউরেকার শিক্ষার্থীরা ও গণসংগীত পরিবেশন করে স্বভূমি লেখক শিল্পী কেন্দ্র।