শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
কৃষি

রঙিন বাঁধাকপি চাষে বাজিমাত

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

রঙিন বাঁধাকপি চাষে বাজিমাত

অধিক পুষ্টিকর লালিমা জাতের লাল বাঁধাকপি ফলনেও ভালো, দামেও ভালো। দেখতে সুন্দর ও স্বাদে হালকা মিষ্টি। সালাদ হিসেবেও খাওয়ার উপযোগী। এটি চাষে অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয় না। স্বাভাবিক পরিবেশে কয়েক দিন সংরক্ষণ করা যায়। বাজারে এই রঙিন বাঁধাকপির চাহিদাও বেশি। যা সাধারণ কপির চেয়ে অনেক বেশি লাভ। দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরাও এ জাতের কপি চাষে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দ্বিগুণ লাভের আশায় প্রত্যন্ত গ্রামে এই রঙিন বাঁধাকপি চাষ করে বাজিমাত করেছেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর গ্রামের কৃষক মো. মতিয়ার রহমান। কৃষক মতিয়ার রহমান তার জমিতে এবার ভিন্ন কিছু চাষ করার ভাবনা থেকে লাল বাঁধাকপি লালিমার চাষ করেছেন। তিনি প্রথমবার পাঁচ শতক জমিতে ৫৪০টি লালিমার চারা রোপণ করেন। রঙিন লাল বাঁধাকপি দেখতে সুন্দর। ভিতরে টুকটুকে লাল ও স্বাদে কিছুটা মিষ্টি হওয়ায় এর চাহিদাও বেশি। এরই মধ্যে বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন। ব্যাপক লাভবান হওয়ার আশা করছেন তিনি। লাল বাঁধাকপি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন। মতিয়ার রহমান গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে এর চাষ শুরু করেন। ৮০-৯০ দিনে কপিগুলো পরিপক্ব হয়ে বিক্রির উপযোগী হয়। কৃষক মতিয়ার বলেন, প্রথমবারের মতো রঙিন বাঁধাকপির চাষ করেছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। ৫ শতক জমিতে ৫৪০টি কপি হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে মাত্র ২ হাজার টাকা। বাজারে প্রতিটি কপি ৩০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করছি। এতে অন্তত ১০ হাজার টাকার কপি বিক্রি হবে। যা সাধারণ কপির চেয়ে অনেক বেশি। লোকজন রঙিন জাতের কপি কিনতে বেশ আগ্রহী। অল্প টাকা খরচ করে আমি বেশ লাভ পেয়েছি। আগামীতে আরও বেশি জমিতে এ জাতের কপির চাষ করব। মো. রফিকুল ইসলাম, মো. ছাবেরউদ্দিনসহ কয়েকজন জানান, এর আগে এ এলাকায় লাল বাঁধাকপি দেখা যায়নি। বীজ বপনের অল্প সময়েই সারি সারি বাঁধাকপি জমিতে ছেয়ে যায়। ওপরের পাতা ছিঁড়ে ফেললেই বের হয়ে আসে লাল টসটসে বাঁধাকপি। সবুজের ভিতরে লালকপি এ উপজেলায় প্রথম। লাল বাঁধাকপি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন। চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. খাদেমুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় প্রথমবারের মতো রঙিন বাঁধাকপির চাষ হয়েছে। প্রথমবার চাষ করেই সফলতা পেয়েছেন কৃষক মতিয়ার রহমান। অন্য কৃষকরাও এ জাতের কপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এ জাতের কপির বাজারে বেশ চাহিদা থাকায় আগামীতে এ উপজেলায় এর চাষ বাড়বে বলে তিনি আশা করছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর