শনিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
কৃষি

ইছামতী নদী এখন বীজতলাসহ চাষের খেত

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ইছামতী নদী এখন বীজতলাসহ চাষের খেত

একসময়ের খরস্রোতা ইছামতী নদীতে এখন চলছে বোরো ধানের বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ। নদী সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে। অনেক এলাকা ভরাট করে হয়েছে বেদখল। শুকনো মৌসুমের আগেই নদী শুকিয়ে যাওয়ায় হারিয়েছে অনেক দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। এতে জেলেরা পেশা বদলিয়ে চলে যাচ্ছে। এখন যে কেউ দেখলে এটা নদী তা বিশ্বাস করতে চায় না। কারণ নদীতে পানি না থাকলেও নদীর বুকজুড়ে সমতল ভূমিতে রয়েছে সবুজের খেতে বিভিন্ন ফসলের চাষ। দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের নশরতপুর এলাকার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ইছামতী নদী এখন ফসল আবাদের সমতল ভূমি। নদীটি অস্তিত্ব সংকটে। তাই বছরের প্রায় সময় নদীতেই চলে ভুট্টা, ধান, রসুন, ফসলসহ বিভিন্ন চাষাবাদ। একসময়ের বহমান নদীটি বর্তমানে বছরের অধিকাংশ সময় শুকনো আর চাষাবাদের উপযুক্ত অবস্থায় পরিণত হয়ে থাকে। তাই নদীতে প্রায় সময় চলে চাষাবাদ। পানি না থাকার কারণে হারিয়ে গেছে স্থানীয় জেলেদের জীবনযাত্রা, দেখা দিয়েছে দেশীয় মাছের অভাব। একসময় এই নদীর পানি দিয়ে কৃষকরা তাদের চাষাবাদ করত আর মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করত জেলে পরিবার। নদীটির জায়গায় জায়গায় কিছু পানি জমে থাকলেও এখন বেশির ভাগ অংশই সমতল কৃষি জমি হয়েছে। তাই বর্ষার সময় অল্প পানি নদী ধারণ করতে না পারলে পাশের জমিগুলোও পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। নশরতপুর এলাকার রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন জানান, ইছামতী নদীতে বেশির ভাগ সময়ই পানি না থাকায় জেলেরা তাদের পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। আবার কেউ অন্যত্র চলে গেছে। আবার নদীতে পানি না থাকায় হারিয়ে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির মাছ। নদীর পানি না থাকায় শুকনো মৌসুমে সেচও দিতে পারেন না কৃষক। তবে নদীকে বাঁচিয়ে রাখতে এখনই পরিকল্পনা নেওয়া দরকার, নইলে একসময় নদীটি সমতল ভূমিতে হারিয়ে যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর