বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

পলাশের বাগানে রাজসিক টিউলিপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

পলাশের বাগানে রাজসিক টিউলিপ

শীতপ্রধান দেশে ফুলটি হামেশাই দেখা যায়। কিন্তু গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশে এর দেখা পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ফুলটির নাম টিউলিপ। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পলাশবাড়ীতে ফুলপ্রেমী হাসান আল সাদী পলাশের বাগানজুড়ে ফুটেছে রাজসিক সৌন্দর্যের ফুল টিউলিপ। পলাশের ড্রিমার্স গার্ডেনে গিয়ে দেখা যায় শত শত টিউলিপ সারি সারি ফুটে আছে। নানা রঙের ফুল ফুটেছে বাগানে। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয়, শখের বশেই গড়ে তুলেছেন টিউলিপ বাগান। গুটিকয় দেশ ছাড়া দৃষ্টিনন্দন টিউলিপ ফুলের দেখা মেলা ভার। এবার সেই টিউলিপ তার রূপের শোভা ছড়াচ্ছে বরেন্দ্র অঞ্চলে। ড্রিমার্স গার্ডেনের পরিচালক পলাশ নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানি করেন সেই ফুলের চারা। অনেকটা চ্যালেঞ্জ নিয়েই শুরু করেছেন চাষাবাদ।

তিনি বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের সর্বত্রই আমের বাগানে পূর্ণ। কিন্তু সেই আমবাগানের নিচের জায়গাগুলো সারা বছর অব্যবহৃত থাকে। এই পতিত জায়গাগুলো   কাজে লাগানোর ভাবনা থেকেই তার এমন চিন্তা আসে। আর সে অনুযায়ীই এমন উদ্যোগ। পলাশ বলেন, ‘প্রাথমিক অবস্থায় বড় পরিসরে শুরুর ইচ্ছা থাকলেও সম্ভব হয়নি। কাছের কোনো মানুষই বিষয়টি সমর্থন দেননি। আমবাগানের নিচে ফুলের বাগান বিষয়টিকে নানা জন নানা নেতিবাচক হিসেবে বুঝতেন। তবু মনের সঙ্গে এক প্রকার জেদ করেই কাজে নেমে পড়া। আশা করছি সফলতার মুখ দেখতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে কয়েক প্রজাতির টিউলিপের ১ হাজার চারা রোপণ করা হয়। এখন পর্যন্ত ফল ভালো। ফুল আসাও শুরু হয়েছে। টিউলিপ চাষে যদি সফলতা আসে তাহলে আগামীতে আরও বড় পরিসরে ফুলটির চাষ শুরু করব। শীতপ্রধান অঞ্চলের হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোয় টিউলিপ চাষের সম্ভাবনা আছে।’ রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, ‘বরেন্দ্র অঞ্চলে টিউলিপ চাষ এই প্রথম। এ ক্ষেত্রে যদি সফল হওয়া যায় তবে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের সম্ভাবনা আছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর