শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

দেশের প্রথম ইয়াবা মামলায় পাঁচজনের দণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে প্রায় ২০ বছর আগে ইয়াবা জব্দের ঘটনায় গুলশান থানায় করা দেশের প্রথম মামলায় রায় দিয়েছে আদালত। এতে দুই ভাইসহ অভিযুক্ত পাঁচজনকেই বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার আদালতপাড়ায় স্থাপিত পরিবেশ আপিল আদালতের (বিশেষ দায়রা আদালত) বিচারক এস এম এরশাদুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ছোটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম ওরফে জুয়েল, তার ভাই সফিকুল ইসলাম ওরফে রফিকুল ইসলাম, একই গ্রামের সামছুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সোমনাথ সাহা ওরফে বাপ্পী এবং ডেমরা থানার মাতুয়াইল দক্ষিণপাড়া মৃধাবাড়ির এমরান হক।

এর মধ্যে সফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন    কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এ ছাড়া মাদক আইনের আরেক ধারায় তাকে আরও তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ২ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্য চার আসামিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে। আসামির মধ্যে জুয়েল ও রফিকুল ইসলাম রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

 অন্য তিন আসামি পলাতক। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর এ এফ এম রেজাউল করিম হিরণ সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, রায়ে মামলায় মাদক বিক্রির ঘটনায় জব্দ করা ২ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন সেট রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ২০০২ সালের ১৮ ডিসেম্বর গুলশানের নিকেতন আবাসিক এলাকায় প্রধান আসামি সফিকুল ইসলামের বাসায় তল্লাশি চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। সেখান থেকে ইয়াবাসহ ৪০০ গ্রাম টেট্রা হাইড্রোক্যানাবিনল, তিনটি হেরোইন সেবনের পাইপ, দুটি যৌন উত্তেজক এডেগ্রা ট্যাবলেট ও ১২০টি মরফিন ও মাদক বিক্রির ২ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা, ২১টি পর্নো সিডি, দুটি মোবাইল ফোন সেট জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক এনামুল হক গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৩ সালের ১৪ জানুয়ারি ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে হাই কোর্ট এ মামলার আসামি মোসফিক রহমান ওরফে তমালের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম বাতিল করে। ২০১০ সালের ৫ এপ্রিল পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত। বিচার চলাকালে আদালত ১৫ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে।

 

সর্বশেষ খবর