রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ঢাকায় হাতুড়ি দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা

টাঙ্গাইলে বাড়িতে পিটিয়ে খুন নারীকে

নিজস্ব প্রতিবেদক ও টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

রাজধানীর দারুস সালাম থানার টোলারবাগে হারিসা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বামী রিকশাচালক এহিয়া মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ছেলে আবদুর রহমান। শুক্রবার রাত সোয়া ৯টায় টোলারবাগ তিন নম্বর গেটের খালার প্রথম গলির একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা হাতুড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকদিন ধরে এহিয়া মোল্লার সঙ্গে তার স্ত্রীর ঝগড়া চলছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে ফের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে রাত সোয়া ৯টার দিকে ঘরে থাকা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মাথায় আঘাত শেষে হত্যা নিশ্চিত করে। গ্রামের জমিজমা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চলছিল। এদিকে শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে বাবার বিচার চাইতে থানায় হাজির হন নিহত হারিসার ছেলে আবদুর রহমান। ঘটনার সময় বাসাতেই ছিলেন ছেলের বউ রিক্তা খানম। তাকে অন্য ঘরে আটকে রেখে শাশুড়িকে খুন করা হয় বলে জানান তিনি। এলাকাবাসীর দাবি, একাধিক বিয়ে করা ছাড়াও নিজের মেয়েকে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে এহিয়ার বিরুদ্ধে। গতকাল দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ জানান, হারিসা হত্যায় তার স্বামী এহিয়াকে তিন দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহতের ছেলে আবদুর রহমান বলেন, আমার বাবা ১২ বছর আগে বাসা থেকে চলে যান। দুই বছর আগে আবার ফিরে আসেন। আরেক জায়গায় বিয়ে করেছেন তিনি। রাতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মাকে রক্তাক্ত জখম করেন। আমি বাসায় ছিলাম না। বাসায় এসে দেখি মা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।

টাঙ্গাইলে নিজ বাড়িতে নারীকে পিটিয়ে হত্যা : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে দুয়াজানী গ্রামে লালভানু (৫৮) নামের এক নারী নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। গতকাল সকালে কে বা কারা তাকে পিটিয়ে হত্যা শেষে বাড়ির রান্না ঘরের সামনে রেখে পালিয়ে যায়। নিহত লালবানু ওই গ্রামের মো. বাবুল মিয়ার স্ত্রী। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই পরিবারের ছেলে ও ছেলের বউসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে । এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুয়াজানি গ্রামের মৃত. আব্দুল মিয়া তিন ছেলে সন্তান রেখে প্রায় ১২ বছর আগে মারা যায়। তার মৃত্যুর ২ বছর পর স্ত্রী লালভানু ফের বঙ্গবটিয়া গ্রামের তিন সন্তানের জনক মো. বাবুল মিয়াকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। এরপর থেকে তিনি নিজ বাড়িতেই নতুন স্বামীকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। বাবুল মিয়া সকালে বাড়ি থেকে কীটনাশক সার নিয়ে জমিতে যায়। এদিকে লালভানু সকালের খাবার রান্না করতে থাকেন। এ সময় তাকে লাঠি দিয়ে কে বা কারা পিটিয়ে  হত্যা করে ফেলে রেখে চলে যায়।

নিহত লালভানুর স্বামী বাবুল মিয়া বলেন, ‘আমি সকালে জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য সার নিয়ে চলে যাই। আনুমানিক ৮টার দিকে হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে দ্রুত বাড়িতে এসে রান্না ঘরের সামনে আমার স্ত্রীর রক্তাক্ত মৃতদেহ পরে থাকতে দেখি।’

এ দিকে হত্যাকান্ডের মোটিভ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও পারিবারিক কলহের কারণে সংঘটিত হতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।

এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সর্বশেষ খবর