রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা কিশোরীকে বাসে ধর্ষণের চেষ্টা হেলপার গ্রেফতার

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১২ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা কিশোরীকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে বাসের ভিতরে ধর্ষণ চেষ্টা চালিয়েছে চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার। এ ঘটনায় বাসের চালক-সুপারভাইজার কৌশলে পালিয়ে গেলেও হেলপার মো. ফারুককে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় জব্দ করা হয় বাসটিও।

শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৫টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বাটাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন- শ্যামলী বাসের চালক চট্টগ্রামের আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাট এলাকার জান শরীফের ছেলে চালক শাহ এমরান (৩৫), চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিংভং সোয়াজনিয়া গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে সুপারভাইজার মাহবুব (৩২) ও একই এলাকার আবু ছৈয়দের ছেলে হেলপার মো. ফারুক (৩০)।  

থানায় দেওয়া এজাহার সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ১ নম্বর ব্লকের রোহিঙ্গা ওই কিশোরী। গত পাঁচ-ছয় দিন আগে কাজের সন্ধানে চট্টগ্রামে যায় সে। কাজ না পেয়ে ক্যাম্পে ফিরতে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে লোকাল হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চকরিয়া পৌরশহরের বাস টার্মিনালে পৌঁছলে ভাড়া দিতে না পারায় তাকে নামিয়ে দেয় ওই বাসের সুপারভাইজার। পরে টার্মিনালে থাকা শ্যামলী পরিবহনের একটি লোকাল বাসের হেলপারকে উখিয়া যাবে কিনা জিজ্ঞেস করেন। একপর্যায়ে উখিয়া যাওয়ার কথা বলে ওই কিশোরীকে খালি বাসে তুলে চকরিয়া পৌরসভার বাটাখালী এলাকায় নির্জন স্থানে নিয়ে বাসের ভিতরে ধর্ষণ চেষ্টা চালায় ওই বাসের চালক-সুপারভাইজার ও হেলপার। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসার পর চালক-সুপারভাইজার কৌশলে পালিয়ে গেলেও হেলপার ফারুককে পাকড়াও করা হয়। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে গ্রেফতার করে। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। তিনজনের মধ্যে এজাহারনামীয় বাসের হেলপার ফারুককে গ্রেফতার করা হয়েছে। চালক-সুপারভাইজারকে গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর