শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

সাতকানিয়ায় সব অস্ত্রবাজ গ্রেফতার হয়নি, বদলি ওসি

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের আলোচিত সাতকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সেই অস্ত্রবাজরা কার লোক এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। ধরাছোঁয়ার বাইরে নেপথ্যের নেতারা। র‌্যাব-পুলিশ কিছু অস্ত্রবাজ গ্রেফতার করলেও চিহ্নিত হয়নি নেপথ্যের কারিগররা।

এদিকে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল জলিলকে বদলির আদেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। ইউপি নির্বাচনে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের নয় দিনের মাথায় এ বদলির আদেশ এলো। বুধবার রাতে পুলিশ সদর দফতর থেকে বদলির আদেশ জারি হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রামের পুলিশ  সুপার এস এম রাশিদুল হক। তিনি বলেন, সাতকানিয়ার ওসিকে ঢাকায় সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। আদেশে নিয়মিত বদলি উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ আছে খাগরিয়া, নলুয়া, বাজালিয়া, চরতি, কাঞ্চনা, ধর্মপুর ও সোনাকানিয়া ইউনিয়নের নৌকা-স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। মূলত নৌকা-স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ। কেন্দ্র দখল ও প্রভাব বিস্তার থেকে শুরু করে স্থানীয় ও বহিরাগতরা ছিল সক্রিয়। অস্ত্রবাজদের কিছু চিহ্নিত করা হলেও নেপথ্যে কারা এখনো চিহ্নিত হয়নি।

এসপি এস এম রাশিদুল হক বলেন, অস্ত্রবাজ যে-ই হোক চিহ্নিত করা হবে।

৭ ফেব্রুয়ারি শেষ তথা সপ্তম ধাপের নির্বাচন ছিল চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়। নলুয়া ও বাজালিয়া ইউনিয়নে শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছেন দুজন। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকেই প্রায় প্রতিদিন সংঘর্ষ, গোলাগুলির খবর আসে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে। নৌকা প্রতীকের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে এসব ঘটে। ভোটের আগের রাতে হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক পার্থসারথি চৌধুরী। নির্বাচনের দিন ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার খাগরিয়া, বাজালিয়া, নলুয়া, সোনাকানিয়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নে রক্তক্ষয়ী সংঘাত ঘটে। প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেয় বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থক সন্ত্রাসীরা। নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় এ পর্যন্ত ১৬টির ওপর মামলা এবং অন্তত ৬০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংঘাত নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগও ওঠে সাতকানিয়ার ওসির বিরুদ্ধে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর