মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
কৃষি

তিতির পালন করে স্বাবলম্বী যুবক

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

তিতির পালন করে স্বাবলম্বী যুবক

কুমিল্লায় বাণিজ্যিকভাবে তিতির পাখি পালন করা হচ্ছে হোমনা উপজেলার বাবরকান্দি গ্রামের একটি খামারে। খামারে তিতির পাখিকে কোর্ট পরা পেঙ্গুইনের মতো ঘুরতে দেখা যায়। তিতিরের ডাকে মুখর চারপাশ। জেলার একমাত্র বড় খামার এটি। তিতির পাখি কিনতে ও দেখতে ওই খামারে মানুষের আনাগোনা দেখা যায়। তরুণ উদ্যোক্তা মো. শাহ আলী এই খামার প্রতিষ্ঠা করেন। তিতির পালন করে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন বলে জানান।  পুরুষ তিতির মাথার মুকুট স্ত্রীর চেয়ে বড়। মাথার অংশ মুরগির মতো। পায়ের রঙ কালচে। পূর্ণাঙ্গ পুরুষের ওজন ১.৫-২ কেজি। স্ত্রীর ওজন ১-১.৫ কেজি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। প্রাকৃতিক খাদ্য খায় বলে খরচ কম। উন্নতমানের ঘর দরকার হয় না। ৬-৭ মাস বয়সে ডিম পাড়ে। বছরে ১০০-১২০টি ডিম দেয়। ৫-৬ মাসে খাওয়া ও বিক্রির উপযোগী হয়। দেশি মুরগির সঙ্গে একত্রে পালন করা যায়। ডিম প্রাকৃতিক ও কৃত্রিমভাবে ফুটানো যায়। ডিম ফুটতে ২৭-২৮ দিন সময় লাগে। ডিম দেশি মুরগি দিয়েও ফুটানো যায়। প্রজনন মৌসুম মার্চ-অক্টোবর মাস পর্যন্ত। তিতির খোলামেলা পরিবেশে ও আবদ্ধ অবস্থায় পালন করা যায়। উদ্যোক্তা মো. শাহ আলী বলেন, ২০১৯ সাল থেকে তিনি খামার শুরু করেন। অনেকে তিতির খাওয়ার জন্য কেনেন। মাংসের স্বাদ ভালো। শৌখিন মানুষজন পালন করেন। জোড়া দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। তার খামারে ১ হাজারের বেশি তিতির পাখি রয়েছে। তিনি বলেন, পৈত্রিকভাবে তাদের গরুর খামার ছিল। বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি আবার শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে তিতির, ময়ূর,গরু ও ভেড়া রয়েছে। তিতিরে পরিশ্রম ও খরচ কম। এগুলো দানাদার খাবার খায়। প্রচার পেলে তিতির পাখির চাহিদা আরও বাড়বে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে মানুষ তিতির পাখি পালন করছে। হোমনার তিতির খামারটি জেলার বড় খামার। তিতির পালন করে তরুণরা বেকারত্ব দূর করতে পারে।

 

 

সর্বশেষ খবর