রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

এক বাগানে ৩০ প্রজাতির বাঁশ!

বান্দরবান প্রতিনিধি

এক বাগানে ৩০ প্রজাতির বাঁশ!

কুমিল্লা, নোয়াখালী, মুন্সীগঞ্জসহ সমতল অঞ্চলে অল্প কিছু প্রজাতির বাঁশ দেখা যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বরাক, বোম্বে, মুলিসহ কয়েকটি। তবে বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই এলাকায় রয়েছে ৩০ প্রজাতির রঙিন বাঁশের জাদুঘর। এসব বিচিত্র আকারের বর্ণিল বাঁশ দেখতে ভিড় করছেন দর্শনার্থী। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের লামা উপজেলার সরইতে অবস্থিত কোয়ান্টামে এ জাদুঘর গড়ে তোলা হয়েছে। বাঁশগুলোর বিচিত্র সব নাম। ভুতুম, পেঁচা, স্বর্ণা, ঘটি, ডলু, কালি, বেথুয়া, করজা, তেঁতুয়া, বোম্বে, থাই, মাকলা, মিতিঙ্গা, তল্লা, বরাক, রেঙ্গুন, ফারুয়া, ব্রান্ডিসি, বাইজ্জা, মাকলা, কাঁটা, হেজ, লাঠি, জিগজাক, বারওয়ারি, কনককাইচ ও মুলি। সরেজমিন দেখা যায় ‘ব্যাম্বোরিয়াম’ নামে একটি সাইনবোর্ড। সেখানে লেখা রয়েছে- বন বিভাগের সহযোগিতায় ব্যাম্বোরিয়াম। সাদা নামের বাঁশের পাতাগুলো সাদা।

পাশে রয়েছে ঘটিবাঁশ। এ বাঁশ দেখলে মনে হবে ছোট সুপারি গাছ। দৃষ্টিনন্দন রঙিন স্বর্ণাবাঁশ। সোনালি রঙের বাঁশে শেষ বিকালের আলো পড়ে ঝলমল করছে। সবচেয়ে লম্বা ও মোটা তুদুমবাঁশ। ফারুয়া বাঁশের সৌন্দর্য অপরূপ। যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা। হেজবাঁশ ঝোপের মতো দেখতে। তার ওপর নির্ভয়ে বসে আছে কালিম পাখি। কুমিল্লার দর্শনার্থী মাহফুজ নান্টু, আবদুর রহমান ও তৈয়বুর রহমান সোহেল জানান, তারা সমতলভূমিতে কয়েক প্রজাতির বাঁশ দেখেছেন। এখানে ৩০ প্রজাতির বাঁশ দেখে মুগ্ধ। এখানে এসে বুঝলেন বাঁশ দেখেও ভালো লাগতে পারে। লামা কোয়ান্টামের কৃষিবিষয়ক সমন্বয়ক শাহজালাল সরকার বলেন, ‘২০০৭ সালের দিকে দেড় একর জমিতে বাঁশবাগানটি গড়ে তোলা হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকা ও বাইরে থেকে বাঁশ এনে এখানে রোপণ করা হয়। বর্তমানে এ বাগানে ৩০ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে। আরও প্রজাতি সংগ্রহের পরিকল্পনা আছে।’ লামা বন বিভাগের বন কর্মকর্তা আরিফুল হক বেলাল জানান, পৃথিবীতে বাঁশের শতাধিক প্রজাতি রয়েছে। চট্টগ্রাম ষোলশহরে বন গবেষণাগারে রয়েছে ৩০ প্রজাতির বেশি বাঁশ। লামার সরইতে স্থাপিত বাঁশবাগানটি তিনি পরিদর্শন করেছেন। এটি সুন্দর একটি উদ্যোগ।

সর্বশেষ খবর