ইলিশ অধ্যুষিত পাঁচ অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ ধরা আজ থেকে দুই মাস বন্ধ থাকবে। জাটকা সংরক্ষণের মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় জেলার এ অভয়াশ্রমগুলোতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। গত মধ্য রাত থেকেই এই নির্দেশ বলবৎ হয়েছে বলে গতকাল মৎস্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী জেলার ইলিশ অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। অভয়াশ্রমের আওতায় রয়েছে- চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকা; ভোলার মদনপুর ও চর ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকা; ভোলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চর রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা; শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুরের মতলব উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকা; বরিশালের হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর ক্ষমতাবলে সরকার ঘোষিত এই পাঁচটি অভয়াশ্রমে প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশ, জাটকাসহ (২৫ সেন্টিমিটার থেকে ১০ ইঞ্চি আকারের ইলিশ) সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। আইন অমান্যকারীকে কমপক্ষে এক থেকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। অভয়াশ্রম-সংশ্লিষ্ট জেলায় মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে বিতরণের জন্য ইতোমধ্যে ৮০ কেজি হারে ভিজিএফ চাল দিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দিয়েছে।