নোয়াখালীর সেই কলেজছাত্রীকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয় বলে জানায় পুলিশ। হত্যামামলার আসামি অটোরিকশাচালক রুবেল হোসেনকে (২৮) গ্রেফতারের পর গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

গত  ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াছিন মোল্লা বাড়ির পেছনের ধান খেত থেকে কোম্পানীগঞ্জের সরকারি মুজিব কলেজের ছাত্রী ও শিক্ষানবিস নার্স শাহনাজ পারভীন প্রিয়তার (২২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১ মার্চ নিহতের বাবা নুরুন্নবী বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে গতকাল ভোরে সুবর্ণচর উপজেলার চররশিদ এলাকা থেকে আসামি রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। সে বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মকবুল আহমেদের পালক ছেলে। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে নিহত প্রিয়তার ব্যবহৃত মোবাইল ও সিম উদ্ধার করা হয়। গতকাল দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি স্বীকার করে, দীর্ঘদিন ধরে নিহত প্রিয়তার প্রতি লোলুপ দৃষ্টি ছিল। ঘটনাক্রমে সেদিন ভুক্তভোগী নানার বাড়ি যাওয়ার জন্য তার অটোরিকশায় উঠলে সে সোজা পথে না গিয়ে অন্য পথে রওনা দেয়। প্রতিবাদ করলে সে জানায়, এটা তার নানার বাড়ি যাওয়ার সোজা পথ। তখন ওই তরুণী রিকশা থেকে নেমে হাঁটা শুরু করলে রুবেল তাকে পেছন দিক থেকে ঝাপটে ধরে ধস্তাধস্তি করে এবং মুখে ওড়না পেঁচিয়ে বেঁধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ সময় তরুণী দম বন্ধ হয়ে মারা যান। তিনি বলেন, আমরা তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে রুবেলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আমরা বিচারিক আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড প্রার্থনা করে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।