মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

যুদ্ধের আগুন পাইকারি বাজারে

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

যুদ্ধের আগুন পাইকারি বাজারে

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাইয়ে। যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, দুই দেশ থেকে এলসি বন্ধ ও এলসি বাতিলের অজুহাতে কতিপয় আমদানিকারক অস্থির করে তুলেছেন বাজার। ফলে হুহু করে বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের দাম। তবে সাধারণ ব্যবসায়ীদের দাবি- চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে বর্তমানে বিক্রি হওয়া ভোগ্যপণ্য কয়েক মাস আগের। যুদ্ধের অজুহাতে কিছু আমদানিকারক অস্থির করে তুলছেন বাজার।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে পণ্য আমদানির জন্য কোনো ব্যাংক এলসি খুলছে না। আবার আগে যে এলসিগুলো করা হয়েছে তার মধ্যে অনেক এলসি বাতিল হয়ে গেছে। এসব কারণে ভোগ্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী।’

তবে সমিতির সভাপতি সোলায়মান বাদশা প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে বর্তমানে যেসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে তা দু-তিন মাস আগের এলসি করা। যখন যুদ্ধের কোনো নামগন্ধ ছিল না। এ ছাড়া সব পণ্য রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকেও আসে না। কিন্তু কিছু আমদানিকারক যুদ্ধের অজুহাতে অস্থির করে তুলছেন ভোগ্যপণ্যের বাজার।’ জানা যায়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ও আমদানি বন্ধ থাকায় এ দুই দেশ থেকে পণ্য আমদানির জন্য কোনো ব্যাংক এলসি না খোলায় ও আগের এলসি বাতিল করার অজুহাতে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ অস্থির করে তুলছেন আমদানিকারকরা। তাদের কারসাজির ফলে হুহু করে বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের দাম। যুদ্ধ শুরুর আগে সরিষার মণ ২৫০০-২৬০০ টাকায় বিক্রি হলেও ১৩ দিনের ব্যবধানে তা বিক্রি হচ্ছে ৩৩৫০-৩৬০০ টাকায়। চনাবুট রকমভেদে মণ ২১০০-২২০০ টাকায় বিক্রি হলেও দাম বেড়ে হয়েছে ২৩০০-২৪০০ টাকা। ১১৩০ টাকার গম বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১২৬০ টাকায়। চাল রকমভেদে ৪০ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। ৪২ টাকা কেজির মটর বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা। ৩৩০ টাকা কেজির জিরা ৩৮৫ টাকা। ৫৫ টাকার মসুর ডাল ৮৮ টাকা। ৯০০ টাকার লবঙ্গ ১০২০ টাকা। ২৫০ টাকার কিশমিশ ৩৫০ টাকা। ২০০০ টাকার চিঁড়ার বস্তা ২১০০ টাকা। ১৫০০ টাকার সেমাইর বস্তা ১৫৫০ টাকা।

 

 

সর্বশেষ খবর