বুধবার, ৯ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

ইন্দোনেশিয়ার তরুণী প্রেমের টানে লক্ষ্মীপুরে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

ইন্দোনেশিয়ার তরুণী প্রেমের টানে লক্ষ্মীপুরে

ফেসবুকে পরিচয়, প্রেম। এবার সেই প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন ফানিয়া আইঅপ্রেনিয়া নামে ইন্দোনেশিয়ার এক তরুণী। সোমবার বিকালে ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন তিনি। সেখান থেকে লক্ষ্মীপুরের রাখালিয়া গ্রামে প্রেমিক রাসেলের কাছে ছুটে আসেন। ফানিয়া ইন্দোনেশিয়ার দিপক এলাকার পাউদি হেলমি ও ফিসুনয়াদি ইসনা ওয়াপি দম্পতির মেয়ে। তিনি সেখানে একটি কল সেন্টারে চাকরি করেন। রাসেল আহমেদ রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে এবং পেশায় গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। প্রায় চার বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ফানিয়ার সঙ্গে রাসেলের পরিচয়, বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা। এক পর্যায়ে তা অদেখার দূরত্ব ঘুচিয়ে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। রাসেল জানান, চার বছর প্রেম করার পর বিয়ের জন্য সুদূর ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশে পাড়ি জমান ফানিয়া। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের ইচ্ছা আছে তাঁর, তবে আপাতত নয়। দুই মাসের ছুটি নিয়ে এসেছেন ফানিয়া। ছুটি শেষে চলে যেতে হবে আবার ইন্দোনেশিয়ায়। তবে একসময় ফানিয়াকে নিয়ে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বসবাস করতে চান তিনি। ফানিয়াও বাংলাদেশে থাকার ব্যাপারে আগ্রহী। গতকাল রাখালিয়া গ্রামে রাসেলের বাড়ি গিয়ে দেখা যায় ওই পরিবারের সঙ্গে গল্প-আড্ডায় মেতে আছেন ফানিয়া। এ সময় তিনি বলেন, ‘রাসেলের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছি। তার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চাই। বিষয়টি আমার মা-বাবাকে জানিয়েই এসেছি। আমি এ দেশের মানুষের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ।’ ফানিয়া বাংলা বুঝতে পারেন তবে বলতে পারেন না। আস্তে আস্তে বাংলা শেখার চেষ্টা করছেন। রাসেল আহমেদের মা বিলকিস বেগম ধজানান, এখানে আসার পর থেকে পরিবারের সবার সঙ্গে খুব মিশে চলছে ফানিয়া। সবাইকে আপন করে নিয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। আশপাশের মানুষ ভিড় করছেন বিদেশি নতুন বউকে দেখার জন্য।

সর্বশেষ খবর