বুধবার, ৯ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

নির্যাতনে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর আত্মহত্যা

অভিযোগ স্বজনদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পরির্দশক মাইনুল ইসলাম সাইফুলের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে তার স্ত্রী সাথী আক্তার আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ থেকে বাঁচতে অসুস্থতার ভান ধরে অভিযুক্ত     সাইফুল শেরেবাংলা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন বলে অভিযোগ নিহতের স্বজনদের। প্রথম স্ত্রী এবং দুই সন্তানের কথা গোপন রেখে কলেজছাত্রীকে দ্বিতীয় বিয়ে এবং তাকে চাকরি দেওয়ার নামে পিত্রালয় থেকে আনা ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা নিয়ে দাম্পত্য কলহ ছিল সাইফুল ও সাথীর মধ্যে। সাথীর ভাই মো. রতন জানান, মাইনুল ইসলাম তার প্রথম স্ত্রী এবং ওই সংসারের দুই সন্তানের কথা গোপন রেখে সাথীকে এক বছর আগে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রীকে সোনালী ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার নামে সাথীর বাবার বাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা আনান সাইফুল। চাকরি না হওয়ায় ওই ৫ লাখ টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এসব ঘটনা নিয়ে দাম্পত্য কলহ চলছিল। বিভিন্ন সময় সাথীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন সাইফুল। নির্যাতনের মুখে সোমবার দুপুরে মহানগরের বৈদ্যপাড়ায় সাইফুলের ভাড়া বাসায় ফ্যানের সঙ্গে রশি বেঁধে গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন সাথী। সাথীর ভগ্নিপতি বাবুগঞ্জের কেদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরে আলম জানান, এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। সাথী আক্তারকে নিয়মিত মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হতো। এ ঘটনার কঠোর বিচার দাবি করেন তিনি। স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ থেকে বাঁচতে সাইফুল অসুস্থতার ভান ধরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে অভিযোগ নুরে আলমের।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক মাইনুল ইসলামের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা যায়নি। তবে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই সাইফুলের দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যার খবর তারা শুনেছেন। এ ঘটনার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাইফুল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. আজিমুল করিম জানান, সাথীর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর