ফরিদপুরের সালথায় গ্রামবাসীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ফরিদপুর সদর হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব  মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় হামলা চালিয়ে পাঁচটি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়। গতকাল সকাল ৯টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বাসুয়ারকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কানাইড় গ্রামে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য কুদ্দুছ  শেখের সমর্থক ওমর মাতুব্বরের সঙ্গে বর্তমান ইউপি সদস্য পারভেজ মাতুব্বরের সমর্থক আকবর  শেখের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর সূত্রধরে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

সাবেক ইউপি সদস্য কুদ্দুছ শেখ বলেন, আমার সমর্থক ওমর মাতুব্বরকে সকালে পারভেজ মাতুব্বরের লোকজন মারধর করে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় বাসুয়ারকান্দী গ্রামে আমার সমর্থকরা বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় দুলাল শেখকে পারভেজ মাতুব্বরের সমর্থকরা মারধর করে। তখন ওখানেই সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে আমার ৭/৮ জন লোক আহত হয়। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বাড়িঘরে হামলার বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। এদিকে, বর্তমান ইউপি সদস্য পারভেজ মাতুব্বর বলেন, কানাইড় গ্রামের উত্তেজনার বিষয়টি মীমাংসা করার কথা বলে পার্শ্ববর্তী বাসুয়ারকান্দী গ্রামে গিয়ে আমার সমর্থকদের কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে কুদ্দুছ শেখের লোকজন। হামলা ঠেকাতে গিয়ে আমার ১০/১২ জন লোক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।

সালথা থানার এসআই মো. মারুফ হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।