সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

প্রেমিকের বাসায় প্রেমিকার লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে সাদিয়া আক্তার ইতি (২৭) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে উত্তর মুরাদপুর ২৮৭/১ নম্বর বাসায় তার লাশ পাওয়া যায়। স্বামী এবং দুই সন্তান রেখে পিরোজপুরের নেসারাবাদ থেকে প্রেমিক মেহেদীর কাছে চলে আসেন সাদিয়া। পুলিশ মেহেদীর বাসা থেকেই সাদিয়ার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মেহেদীকে আটক করেছে পুলিশ।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাদিয়ার বাড়ি পিরোজপুরের নেসারাবাদ এলাকায়। তার স্বামীর নাম নজরুল ইসলাম নয়ন। সাদিয়া দুই সন্তানের জননী। পিকআপ চালক মেহেদীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পাঁচ মাস আগে স্বামী-সন্তান রেখে মেহেদীর কাছে চলে আসে সাদিয়া। বিষয়টি পরিবার জানলেও চেষ্টা করে সাদিয়াকে বাড়ি ফেরাতে পারেননি।

পুলিশ জানায়, সাদিয়াকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে উত্তর মুরাদপুরের ২৮৭/১ ভবনে বাসা ভাড়া নেয় মেহেদী। ওই বাসায় দেড় মাস ধরে তারা

 থাকছেন। তবে পরিবার বলছে, প্রায় ৫ মাস আগে বাসা ছেড়েছে সাদিয়া। মেহেদী ও সাদিয়ার বাড়ি একই এলাকায়। সাদিয়ার লাশ উদ্ধারের সময় মেহেদীকে বাসায় পাওয়া গেছে। পরে তাকে আটক করা হয়। সাদিয়ার মৃত্যু নিয়ে সে নানা তথ্য দিচ্ছে। কদমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে জানান, গতকাল বেলা ১১টার দিকে ওই বাসার বিছানার ওপর থেকে সাদিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় কালো দাগ রয়েছে। এছাড়া শরীরের আর কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে সাদিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। আবার আত্মহত্যাও হতে পারে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। সাদিয়ার বাবা শরীফুল ইসলাম জানান, সাদিয়া প্রায় ৫ মাস আগে বাড়ি থেকে চলে আসে। প্রথমে আমরা জানতে পারিনি সে কোথায় আছে। পরে জানতে পারি মেহেদীর সঙ্গে ঢাকাই থাকে। আমরা তাকে বিভিন্নভাবে বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করেছি। কাজ হয়নি। মেহেদী আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

সর্বশেষ খবর