পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় স্বামীর হাতুড়িপেটায় আয়শা বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী মামুন খানকে (৪০) গ্রেফতার করেছে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের রূপনগর আবাসিক এলাকায়। থানা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার বকশীর ঘটিচোরা গ্রামের মৃত হযরত আলী প্যাদার মেয়ে আয়শা বেগমের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের মৃত মজিদ খানের ছেলে মামুন খানের সঙ্গে ১৫ বছর আগে পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয়। গত ১০ বছর ধরে এ দম্পতি তাদের তিন সন্তান নিয়ে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের রূপনগর মহল্লায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। মামুন পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। দুই বছর ধরে তিনি একই মহল্লায় বসবাসরত তানিয়া বেগম নামে এক গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ পরকীয়ার জের ধরে মামুন ও আয়শা দম্পতির মাঝে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলে আসছিল। সোমবার সকালে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মামুন খান হাতুড়ি দিয়ে স্ত্রীর মাথায় ও বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন। প্রতিবেশীরা এসে আয়শাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় মারা যান আয়েশা। এ ঘটনায় নিহত আয়শা বেগমের মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে জামাই মামুন খান ও তার কথিত প্রেমিকা তানিয়া আক্তারকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহম্মদ নূরুল ইসলাম বাদল জানান, স্বামীর পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে দাম্পত্য কলহের জের ধরে মামুন খান স্ত্রীর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করায় আয়শার মৃত্যু ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের মা জামাইসহ দুজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
