বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

সন্দেহজনক লেনদেন ৫ হাজারের বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত এক বছরে ৫ হাজার ২৮০টি সন্দেহজনক বৈদেশিক লেনদেন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউর পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে সংস্থাটি দেশের অর্থপাচার সংক্রান্ত ও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য তুলে ধরে। গতকাল বিএফআইইউ-এর বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২০-২০২১ এবং বিএফআইইউ-এর কার্যক্রম সম্পর্কে জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ও সহকারী মুখপাত্র আবুল কালাম আজাদ, বিএফআইইউর মহাব্যবস্থাপক এবিএম জহুরুল হুদা,  ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রকাশিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে অর্থ পাচারসংক্রান্ত সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৬৭৫টি। ২০২০-২১ অর্থবছরে সেটি বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ২৮০টি। অর্থ্যৎ এক বছরে অর্থ পাচার সংক্রান্ত ঘটনা বেড়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশ। অবৈধভাবে অর্থ লেনদেন হয়েছে, তার বেশিরভাগই ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বিএফআইইউ-এর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, সন্দেহজনক লেনদেন হিসেবে চিহ্নিত ২৬ দশমিক ১ শতাংশ তথ্য আসে গণমাধ্যমে প্রচারিত বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে। ই-কমার্সের মাধ্যমে শত শত অবৈধ লেনদেন হচ্ছে, যা আগের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি বলেন, গত ৭ মার্চ বিএফআইইউ-এর স্বতন্ত্র ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়েছে, যেখানে পরিচয় গোপন করে যে কেউ অভিযোগ করতে পারবেন। সেটাকে গুরুত্ব সহকারে দেখবে বিএফআইইউ। কানাডার বেগমপাড়া, মালয়েশিয়া এবং পি কে হালদার নিয়ে আমরা কাজ করেছি। এ বিষয়ে যথাযথ সংস্থাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।

সর্বশেষ খবর