বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ, কমলাপুরে যাত্রীদের লাইন

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ট্রেনের যাত্রীরা। কাউন্টারে টিকিট কিনতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় অনেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যের টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। টিকিট কাউন্টারগুলোতে টিকিট দিতে হিমশিম খাচ্ছেন রেলওয়ের বুকিং মাস্টাররাও। গতকাল কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

যাত্রীদের অভিযোগ, কোনো ধরনের প্রস্তুতি না নিয়ে সারা দেশে অনলাইন টিকিট বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রত্যেককে টিকিট কাটতে কাউন্টারে যেতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করতে হচ্ছে টিকিট। অনেকে               দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। এর আগে ১৪ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে ২১ মার্চ থেকে আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত অনলাইন টিকিট বন্ধ রাখার বিষয়টি জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। বলা হয়, টিকিট ইস্যু কার্যক্রম সফলভাবে সচল রাখার লক্ষ্যে এ পাঁচ দিন অনলাইনে এবং কাউন্টারে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করার পরিবর্তে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে শতভাগ টিকিট ইস্যু করা হবে। ২৬ মার্চ থেকে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভির মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের কম্পিউটারাইজড টিকিটিং সিস্টেম পুনরায় চালু করা হবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাঁচ দিনের পরিবর্তে দুই দিনের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা হবে এবং এক্ষেত্রে সব টিকিট উন্মুক্ত থাকবে, কোনো কোটা বা আসন সংরক্ষিত থাকবে না। জানা গেছে, ২০০৭ সাল থেকে ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রি করছে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং সিস্টেম (সিএনএস)। তাদের সঙ্গে রেলওয়ের ১৫ বছরের চুক্তি ছিল। ২০ মার্চ এই চুক্তি শেষ হয়েছে। এরপর টিকিট বিক্রির জন্য নতুনভাবে টেন্ডার করা হয়। এই টেন্ডারে কাজ পায় রাইড শেয়ারিং কোম্পানি সহজ লিমিটেড। গতকাল সরেজমিন কমলাপুর রেল স্টেশনে দেখা যায়, স্টেশনে হাজারো মানুষের ভিড়। প্রত্যেকে টিকিট কাটতে কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। এই লাইন কাউন্টার থেকে স্টেশনের বাইরে পর্যন্ত চলে গেছে। সকালে রাজশাহীর ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, অনলাইনে টিকিট বন্ধ থাকায় কাউন্টারে টিকিট নিতে এসেছি। কিন্তু টিকিট নিতে অনেক ভিড়। অনেকে টিকেট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন শরিফুল।

সর্বশেষ খবর