মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

নাইকো বাংলাদেশের সাবেক প্রধান শরীফের পাঁচ বছরের জেল

আদালত প্রতিবেদক

ঘুষ হিসেবে সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনকে কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি দেওয়ায় নাইকো রিসোর্সেস লিমিটেড বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।

গতকাল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক এ এস এম রুহুল ইমরান এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয় বলে সাংবাদিকদের জানান দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। তবে এ মামলার মূল আসামি সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম  মোশাররফ হোসেন মারা যাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কাশেম শরীফ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক।

 রায়ে  ঘোষণার সময় পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন বিচারক।

প্রসঙ্গত, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ১২  ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন দুদকের তৎকালীন পরিচালক সাহিদুর রহমান। কানাডার নাইকো রিসোর্সেস লিমিটেডের কাছ থেকে কোটি টাকা মূল্যের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি, রেজিস্ট্রেশন বাবদ ২৩ হাজার ৮০৫ টাকা এবং কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ বাবদ ৫ লাখ কানাডিয়ান ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করা হয় তার বিরুদ্ধে।

মামলায় বলা হয়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ  হোসেন ফেনী গ্যাসক্ষেত্র থেকে উত্তোলিত গ্যাসের ক্রয়চুক্তি (জিপিএসএ) সম্পাদনের সময় নাইকোকে সুবিধা দিতে নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফের কাছ থেকে এসব সুবিধ নেন। ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে কাশেম শরীফকে মামলায় আসামি করা হয়। তিনি মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

২০১২ সালের আগস্টে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ১১ অক্টোবর মোশাররফ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। ঘটনার সময় নাইকো গ্যাসের মূল্য প্রতি হাজার ঘনফুট (এমসিএফ) ২ দশমিক ১৫ থেকে ২ দশমিক ৩৫ ডলার পর্যন্ত দাবি করেছিল। ওই সময় ঘুষ কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় মোশাররফ হোসেন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়  থেকে পদত্যাগ করেন। পরে গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ হয় ১ দশমিক ৭৫ ডলার।

সর্বশেষ খবর