বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

সরকারকে আন্তরিক হতে হবে

-জালালুদ্দীন আহমদ

সরকারকে আন্তরিক হতে হবে

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে সাধারণত আমরা নির্বাচন করি এবং প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। তবে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বর্তমান সরকারকেও আন্তরিক হতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, দেশের মানুষের মধ্যে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। দ্রব্যমূল্য সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। একটি পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করলে অন্য দশটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিসিবির পণ্য কেনার জন্য প্রচ- রোদে মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এখনো অনেক আলেম-ওলামা ও সাধারণ মানুষ কারাবন্দি। হত্যা, ধর্ষণ বন্ধ হচ্ছে না। দেশের এমন অবস্থা চলতে থাকলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের হাওয়া এখনো পুরোপুরি শুরু না হলেও আমরা নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। দলের সাংগঠনিক অবস্থা প্রসঙ্গে বলেন, দলের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ অনেক সিনিয়র নেতা দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১১ জুন সপ্তম কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সফর ও ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ কমিশনের মাধ্যমে এখনো কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে তাদের ওপর আস্থা বা অনাস্থার বিষয়ে মন্তব্য এখনই করা যায় না। তবে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারলে তাদের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসতে পারে।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব একটা সন্তোষজনক নয়। অনেক সময় দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিজেদের নিরাপত্তা দিতেও হিমশিম খাচ্ছে। সন্ত্রাস, খুন, চাঁদাবাজি বহাল তবিয়তে চলছে। ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, বাহ্যিকভাবে রাস্তাঘাট, সেতু, ফ্লাইওভারের উন্নতি হলেও দুর্নীতি নির্মূল, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস, খুন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বন্ধ ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন বিষয়ে সরকার সফল হতে পারেনি। সাধারণ মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে অনেক ক্ষেত্রে সফলতা ব্যর্থতায় পরিণত হয়। বিরোধী দলগুলো স্বাধীনভাবে কতটা মত প্রকাশ বা প্রচারণা চালাতে পারছে জানতে চাইলে মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, বিরোধী দলগুলোর মত প্রকাশে স্বাধীনতা একেবারেই নেই- এটা বলা যায় না। মাঝেমধ্যে সভা-সমাবেশ করতে দিলেও অনুমতির অজুহাতে বহু সভা-সমাবেশে হামলাসহ মামলা এবং হয়রানির শিকার হতে হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর