শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

সূর্যমুখীর ভালো-মন্দের খোঁজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

সূর্যমুখীর ভালো-মন্দের খোঁজ

সূর্যমুখী চাষের জন্য কৃষকদের প্রণোদনা দেয় সরকার। তাতে রাজশাহী জেলায় গত বছর ১৫৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়। কিন্তু সরকার এ বছর (২০২২) কৃষকদের প্রণোদনা দেয়নি। তাই কমেছে সূর্যমুখীর চাষ।

কৃষকরা বলছেন, সূর্যমুখী চাষের ভালো-মন্দ এখনো বুঝে উঠতে পারেননি তারা। গত বছর বিলম্বে বীজ পেয়েছেন। সেই সঙ্গে তাদের ঠিকমতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। এতে সূর্যমুখী চাষের বিষয়টি চাষিদের কাছে তেমন পরিষ্কার হয়নি। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছর সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সরকারি প্রণোদনা হিসেবে সার ও বীজ দেওয়া হয়। অনেক কৃষক এ ফসলটি চাষ করেছিলেন। এ বছর রাজশাহী জেলায় ৩৯ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ১১৫ হেক্টর কম জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। সে হিসাবে তিন ভাগের এক ভাগ কম জমিতে চাষ হয়েছে সূর্যমুখীর।

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সূর্যমুখী চাষের শুরুর বছরে (২০২১) বাগমারায় ৬০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়। কিন্তু এ বছর (২০২২) চাষ হয়েছে মাত্র পাঁচ হেক্টর জমিতে। ৫৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়নি। কৃষকরা অন্য ফসল চাষ করেছেন ওইসব জমিতে। বাগমারা কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক জানান, ‘সূর্যমুখী থেকে তেল হয়, সরিষা থেকেও তেল হয়। এ বছর সরিষার বেশি চাষ হয়েছে বাগমারায়। এ উপজেলায় ৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এ ছাড়া এ বছর সূর্যমুখী চাষে প্রণোদনা না পাওয়ায় সূর্যমুখী কম চাষ হতে পারে।’

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ মৌসুমে রাজশাহী জেলায় ১৫৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়। জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে বাগমারায় সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। এ উপজেলায় ৬০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়। এ ছাড়া পবায় ২৪ হেক্টর, তানোরে ১৪ হেক্টর, মোহনপুরে ৫ হেক্টর, গোদাগাড়ীতে ৩০ হেক্টর, দুর্গাপুরে ২ হেক্টর, পুঠিয়ায় ৩ হেক্টর, চারঘাটে ৬ হেক্টর ও বাঘায় ১০ হেক্টর জমিতে এ সূর্যমুখীর চাষ

হয়। চলতি ২০২১-২২ মৌসুমে জেলায় ৩৯ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়। এ বছর উপজেলার গোদাগাড়ীতে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে। এ উপজেলায় ৯ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলাগুলোর মধ্যে পবায় ৫ হেক্টর, তানোরে ২ হেক্টর, মোহনপুরে ৫ হেক্টর, বাগমারায় ৫ হেক্টর, দুর্গাপুরে ৫ হেক্টর, পুঠিয়ায় ৩ হেক্টর, চারঘাটে ২ হেক্টর ও বাঘায় ৩ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) তৌফিকুর রহমান জানান, এ মৌসুমে সূর্যমুখীর কম চাষ হয়েছে। কারণ চাষিরা প্রণোদনা পায়নি। তবে তুলনামূলক ভালো চাষ হয়েছে। আগামী বছর এর চাষ আরও বাড়তে পারে।

সর্বশেষ খবর